নিজস্ব প্রতিবেদক ||
যশোরে মীর মোশাররফ হোসেন বাবু ওরফে ডিশ বাবুর বিরুদ্ধে এবার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় এ অভিযোগ দেন হাটখোলা রোডের সুধীর কাপুড়িয়ার ছেলে সুজিত কাপুড়িয়া বাবলু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন দূর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের উদ্দেশে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মন্দিরের প্রবেশ করতে যান ভুক্তোভোগীরা। এ সময় এইচএমএম রোডের মদন ঘোষের ছেলে চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ী বিকাশ চন্দ্র ঘোষ (বাপ্পি), লোন অফিস পাড়ার শম্ভু দত্তের ছেলে বাবু দত্ত, হাজী আব্দুল করিম রোডের মৃত বিজয় সাউয়ের ছেলে ধীরাজ সাউ, বারান্দী নাথ পাড়ার অসীম দেবনাথের ছেলে অনিপ দেবনাথ ও মাছ বাজার রোডের গোবিন্দ রায়ের ছেলে দীপ্ত রায়সহ ৭-৮ জন,সুজিত কাপুড়িয়া বাবলুসহ পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস, সদস্য পবিত্র সাহা, পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ ভৌমিক, ৮নং ওয়ার্ড পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যকে পুলিশের সামনে মারপিট করে। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মীর মোশারফ হোসেন, ওরফে ডিস বাবু পাশের ভবনে থেকে মারার জন্য তাদের উৎসাহ ও নির্ভয় দিতে থাকেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, ডিস বাবুর বিরুদ্ধে নাশকতা মামলাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হত্যা মামলা রয়েছে। মন্দিরের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ আত্মসাৎয়ের ঘটনায় আদালতে মামলা করার পর থেকে তিনি বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছেন এবং মন্দিরের সামনে রাস্তায় মারপিট করেছেন। পশাপাশি অস্ত্র দিয়ে জখম করার চেষ্টা করেছে।
এ ঘটনায় সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ সকল অভিযোগের ব্যাপারে মীর মোশারফ হোসেন ওরফে ডিস বাবু বলেন, এটা আমাকে ফাঁসানোর জন্য গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগত কাজে থানায় গিয়েছিলাম।এ সময় এ দু পক্ষকে মন্দিরের দিকে যেতে দেখে আমি পুলিশকে অবগত করি, যে এখানে দুটি গ্রুপ মন্দিরে যাচ্ছে, এখানে ঝামেলা হতে পারে।
ডিস বাবু বলেন, ওরা আমাকে দেখতে পেয়ে ধারণা অনুযায়ী এ সকল মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আশেপাশে কোন সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে যে ওদের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে ডিশ বাবুর বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।