1. admin@gangchiltv.com : admin :
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে দলিত আদিবাসীদের অনূকুলে সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা নড়াইলের জঙ্গলগ্রামে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প- ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গলাচিপায় দুস্থ অসহায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ পটুয়াখালীতে কমলাপুরে চাদাবাজদের বিরুদ্ধে অটোরিক্সা শ্রমিকদের মানববন্ধন নড়াইলের পেড়লী যুবলীগ কর্মী আজাদ হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ জনগনের মাঝে তুলে ধরার লক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে; সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। যশোরে ডিশ বাবুর বিরুদ্ধে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে মারপিটের অভিযোগ নড়াইল কালিয়ায় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে হাজারো মানুষের ভীড়  দুই সাংবাদিকের মৃত্যুতে নড়াইলে স্মরণ ও শোক সভা অনুষ্ঠিত।

পটুয়াখালীর ভাসমান একটি সাঁকোই এই গ্রামের শেষ ভরসা!

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫১ বার পঠিত

 

মোঃ মামুন হোসাইন।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা খালের ওপর ভেঙে পড়া সেতুটি দীর্ঘদিনেও নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ভোগান্তি নিয়েই নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজারো মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্লাস্টিকের ড্রাম ব্যবহার করে ভাসমান সাঁকো তৈরি করে নিলেও সেটিও এখন ঝুঁকির মধ্যে আছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) বলছে, সেতু নির্মাণের জন্য তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পাশাপাশি কোনো একটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে।

কৃষিসমৃদ্ধ কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন। এ অঞ্চলের কৃষকরা সারাবছর কৃষিকাজে ব্যস্ত সময় পার করেন। কয়েক বছর আগে পাখিমারা এবং নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যকার পাখিমারা খালের ওপর নির্মিত স্টিলের সেতুটি ভেঙে পড়লে দুই ইউনিয়নের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর কয়েক দফায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে চাঁদা তুলে ভাসমান সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই তা এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় কৃষক জহির গাজী বলেন, ২০১৫ সালের প্রথম দিকে স্টিলের কাঠামো দিয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করে। তবে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এরপর আমরা স্থানীয়রা ৬৭টি প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে ভাসমান একটি সাঁকো তৈরি করি। এতে আমাদের সে সময় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। আমরা স্থানীয়রা চাঁদা তুলে মাঝেমধ্যে এটি মেরামত করছি। তবে এখন ভাসমান সাঁকো দিয়ে চলাচল একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষক মামুন গাজী বলেন, ভাসমান সেতু দিয়ে স্থানীয়দের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলের পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ নিয়ে কয়েক দফা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তারা যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাননি। বর্তমানে নীলগঞ্জ ইউনিয়নে উৎপাদিত সব শাকসবজি মাথায় করে পূর্বপাড় থেকে পশ্চিমপাড় পাখিমারায় নিয়ে আসতে হচ্ছে। এছাড়া সার, বীজ পরিবহনেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব বলেন, গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ। আমি নিজেই এটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবো।

তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য দুটি প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পিডি স্যার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেতুটির ফিজিবিলিটি স্টাডিও শেষ। গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সেতু নির্মাণের তালিকার মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত আছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে সেতুটি নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের একটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেতুটি কোনো একটি প্রকল্পের ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আমরা যোগাযোগ করছি।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (দুপুর ২:৩৬)
  • ১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ ©  গাঙচিল টিভি
Theme Customized By Shakil IT Park