মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্ৰামের মধ্য পাড়ায় অবস্থিত কে,টি,এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম (বাদশা)তার নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারন উল্লেখ পূর্বক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন, অত্র স্কুল প্রতিষ্ঠানের কমিটির সদস্য বৃন্দ।
সদস্য বৃন্দগন উক্ত শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করে বলেন, আমরা নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাধীন কে, টি ,এম, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার গরীব পরিবারের ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ার সুযোগ দানের জন্য কিছু শিক্ষানুরাগীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠান টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমান সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম (বাদশা) তিনি আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, অফিস সহকারী,দপ্তরী, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্ন কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দান করার লক্ষ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অহিদুজ্জামান (দুলুর) সহযোগিতায় ইন্টারভিউ কার্ড ও সাক্ষাৎকার পত্র প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এবং ২৫ সেক্টমবর ২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করে। যাহা এলাকার জনসাধারণের মধ্যে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এবং অভিযোগকারীদের হুমকি ধামকি সহ অপমান করেন, অবশেষে ওই সভাপতির বিরুদ্ধে অ-নাস্তা সহ দুর্নীতির নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের জন্য আবেদন পত্র দাখিল করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে মুঠো ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ বলে বাসায় যেতে বলেন এবং বাসায় গেলে তিনি বেশি অসুস্থর ভান ধরে দেখা বা কথাকোন টা ই বলেন নাই।
এবিষয়ে সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদশা কে ও একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন টি রিসিভ করেননি।
ওই বিদ্যালয়ের নির্বাচিত সদস্য তাজমুল শেখ ও আজিজুর শিকদার বলেন,নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু সভাপতি আমাদের কে না জানিয়ে করেছে।
এমনকি অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হুদা কে ও জানান নাই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তারা ২ জন মিলে অন্যায় ভাবে দুর্নীতি করে নিয়োগ দিয়েছে, এবং তার ই প্রতিবাদে সদস্যগন সভাপতির অপসারন চেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবং এ বিষয়ে এলাকার জনগণ ও সদস্য বৃন্দ ওই দূরনীতিবাজ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্ৰহনের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।
এবিষয়ে নাছরিন বেগম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমরা অভিযোগ দিয়েছি বর্তমান সভাপতি অপসারণ এবং প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, এবং তিনি আরও বলেন নিয়োগে যে বাণিজ্য হয়েছে এটাই ইতিমধ্যে এলাকায় জানাজানি হয়ে যাচ্ছে,
উক্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এবং তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন লোহাগড়া বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া কে, তিনার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট টা দিবো এবং সঠিক প্রতিবেদনটা আমি দিব,