মতিন গাজী নিজস্ব সংবাদদাতা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার মহাকাল গ্রামের সোহাগ আলীর ছেলে মোস্তাকিম ফিরে পেতে চায় তার দু’চোখের দৃষ্টি।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও ঠিক হয়নি তার ছেলের দুটি চোখ। ছেলেটির বাবার কাছে আরো জানতে চাইলে তিনি “সকালের সময়কে”বলেন, আমার ছেলের বয়স মাত্র ১০ বছর। সে আলিপুর মুজাদ্দেদিয়া মাদ্রাসায় হাফেজি পড়াশুনা করে।কিছুদিন আগেও সে পৃথিবীর আলো দেখতে পেত সব কিছুই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তুু,হঠাৎ করেই দুই থেকে তিন মাস আগে বাচ্চারা খেলছিল আমার ছেলেটি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একটি মাটির দলা এসে তার এক চোখে আঘাত হানে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খারাপ দেখলে আমরা ডাক্তারের সাহায্য নেই। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল এবং সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও আমার ছেলের চোখের কোন পরিবর্তন না দেখতে পেয়ে, ঢাকায় চক্ষু বিজ্ঞানী ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যেয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে ডাক্তার বলেন,আমার ছেলের দুই চোখেরি,’রেটিনা’ কেটে গেছে খুব দ্রুতই তার অপারেশন করা দরকার।তা না হলে সে আর চোখে দেখতে পারবে না।আমি একজন সামান্য চায়ের দোকানদার অপারেশন করতে ৩লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। আমি কখনোই চাই না আমার ছেলেটা চির দিনের মতো দৃষ্টি হারিয়ে ফেলুক। আজ টাকার জন্য আমার ছেলের অপারেশন হবে না অন্ধ হয়ে যাবে এটা বাবা হয়ে আমি কখনোই সহ্য করতে পারবো না,সামান্য চায়ের দোকানদারি করে আমি আমার জিবিকা নির্বাহ করি,দেশ ও দেশের বাইরের সকলের কাছে আকুল আবেদন,দয়া করে আমার ছেলে যাতে আবার চোখে দেখতে পায়,আপনারা সবাই আর্থিক সহযোগিতা করে পাশে দাঁড়াবেন।
মতিন