আবু রায়হান লিটন জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ি ইউনিয়নের দৌলতপুর মৌজার কটকবাড়ী গ্রামের বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপের অপারেটরের প্রতি হিংসার আগুনে পুরলো অর্ধশতাধিক বিঘা জমির ধান। কৃষকের হাঁহাঁকার।
ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগ,দীর্ঘ দিন ধরে পানি সেচ বন্ধ রাখায় আমাদের জমির ধান পুড়ে গেছে। অপারেটর কামরুজ্জামানের প্রতি হিংসায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপে বিদ্যুৎ থাকলেও অনিবার্য কারণে এসব জমিতে পানি সেচ বন্ধ রাখা হয়। এতে করে প্রায় অর্ধশতাধিক বিঘা জমির ধান পুড়ে যায়।
গত ১৫ মে, সোমবার সরজমিনে দেখা যায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপের পানি সেচে অনিয়ম এর কারণে কটকবাড়ী এবং তাজপুর গ্রামের কৃষকদের অর্ধশতাধিক বিঘা জমির ধান পুরে গেছে। প্রভাবশালী ঐ অপারেটরের সাথে পানি সেচ নিয়ে কৃষকদের সাথে কথা কাটা কাটি হয়েছে বলেও জানা গেছে। প্রতি বিঘা জমি পানি সেচের মূল্য ধরা হয়েছে ১১শত টাকা। পানি সেচ বন্ধ রাখায় প্রতি বিঘাতে ধানের ফলন অর্ধেকেরও কম হওয়ার সম্ভাবনা । পানি সেচ বন্ধ না রাখলে প্রতি বিঘাতে ফলন আসতো ২৫ থেকে ২৬ মণ হারে। এতে করে আমাদের লোকশান গুনতে হবে বলে জানান কৃষকরা।
কটকবাড়ী গ্রামের কৃষক শৈলেন্দ্রনাথ বলেন, পানি সেচ না দেওয়ার কারণে আমার জমির ধান পুড়ে গেছে। পানি সেচের টাকা দিবো কি ভাবে আর ধান কাটার খরচ পাবো কোথায়। এই সব জমির ধান পুড়ে যাওয়ার করণে খাবার ধান অন্য কৃষকের কাছে থেকে কিনতে হবে। জমির ধান পুড়ে যাওয়াই ষোল আনাই লোকশান হয়েছে।
কটকবাড়ী গ্রামের কৃষক মিলন হোসেন বলেন, অপারেট হিংসা করে পানি সেচ না দেওয়াই আমার ৮বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। ধান পুড়ে যাওয়াই প্রায় দেড় লাখ টাকা লোকশান হবে।
তাজপুর গ্রামের কৃষক আবতাব বলেন, ৬/৭ বিঘা জমিতে ধান লাগাছি আমার ধানের জমিতে পানি সেচ না দিয়ায় সব ধান পুড়ে ফেলেছে। খরচের টাকা উঠবে না খাবো কি খুব দুচিন্তাই আছি।
এ ব্যপারে ঐ নলকুপের ড্রেনম্যান মজনু মিয়া, পানি সমস্যার কারণে ধান পুড়ে যাওয়ার কথা শিকার করেন। তিনি আরও বলেন, ডিপের মটর নষ্ট হয়েছে ২ থেকে ৩ বার এর জন্য পানি সেচ বন্ধ রাখা হয়েছে কিছু দিন, বলেও তিনি জানান।
অপারেটর কামরুজ্জামান (মিলন) বলেন, জমির ধান পুড়ে গেছে তো কি হয়েছে। আমি বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। আপনাদের সাথে কথা বলতে পারবো না, আপনে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন জান।
ডিপ টিওবওয়েলের ইজারাদার হানিফ উদ্দিন মন্ডল বলেন, গত ২রা মে থেকে মটর ও ট্রান্সফরমারের সমস্যা হয়েছিল তাই একটু দেরী হয়েছে পানি সেচ দিতে। আজ পানি যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, বোরো ধানে সেচের সমস্যা হলে ধানের ফলন কম হবে। ধানে রোগবালাই বেশী হবে। এতে কৃষকের লোকশান হবে।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহকারী প্রকৌশলী মোশারব আলী বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। যদি এর পিছনে অপারেটরের হাত থাকে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply