মোঃশফিকুল ইসলাম দুলাল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের মাদকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ২ ধাপে ৩ ব্যক্তির গ্রেফতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, গত শনিবার জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুয়ারী (জিয়াবাড়ী) এলাকায় মঃসবুর হাসান ওরফে জুলুন (২৬) কে ১৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়। পরদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিরস্ত্র) জহরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই বালিয়াডাঙ্গী থানায় ০৭ নং মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ নবিউল ইসলামকে নিযুক্ত করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার রতনদিঘী গ্রামের ইসরাইল ওরফে পানিপথের ছেলে লতিফ ওরফে ফুচকুন (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার চাচাতো ভাই মোঃ রানা মিষ্টারের বাড়ির তোশকের নিচ হতে চটের ব্যাগের ভিতরে রক্ষিত শপিং ব্যাগ দ্বারা পেচানো ট্রিগার, ফায়ারিং পিন ও ব্যারেল সংযুক্ত একটি সচল আগ্নেয়াস্ত্র ওয়ান শুটার গান এবং একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবিউল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার বালিয়াডাঙ্গী থানায় অস্ত্র আইনে ১০ নং মামলা দায়ের করেন।সোমবার গ্রেফতারকৃত ২জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিবির অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, গোয়েন্দা শাখার এসআই মোঃনবিউল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।