মোঃ মামুন হোসাইন।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী দশমিনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর তুলতে গেলে
বাঁধা দেওয়ায় মা ও মেয়েকে
পিটিয়ে যখম করার ঘটনা ঘটেছে।
রোজ সোমবার (১০এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে, উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের
রামভালক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আহত সুফিয়া বেগম (৮০),আলেয়া (৬০), সালেহা (৫৫),মো,নিজাম (৭০),ও আবুল কালাম (৬৫), স্থায়ী সুএে জানা যায়, রামভালক গ্রামের নিজাম
খাঁন ও প্রতিবেশী মোঃ সেলিম খাঁনদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল । এ নিয়ে পটুয়াখালী সহকারী জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রয়েছে। এর মধ্যে
সোমবার দুপুরে নিষেধাজ্ঞাকৃত
জমিতে সেলিম খাঁন, বাবুল, জসিম, পাবেল, ইসমাইলসহ
তাদের সহযোগী ১০-১২ জন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর তুলতে যায়।
এসময় সুফিয়া বেগম বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত
যখম করেন, মাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন মেয়ে আলেয়া
ও সালেহা, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত সুফিয়া বেগম বলেন, জমি নিয়ে দেওয়ানী মামলা চলছে এবং নিষেধাজ্ঞা ও জারি
আছে, তবে অবৈধ ভাবে সেলিম খাঁন, বাবুল, জসিম, পাবেল, ইসমাইল ঘর তুলতে যায়।
আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার ছেলে ও মেয়েরা আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের ও মারধর করে।
এর আগে আমার ছেলে ও মেয়েদের মারধর করে আহত করার ঘটনায় দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে একটি
ফৌজদারি মামলা চলছে।
আহত নিজাম খাঁন বলেন, সেলিম খাঁনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা চলছে।
আজ দুপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জমিতে সেলিম খাঁন ও তার ছেলেসহ অপরিচিত ১০-
১২ জন ঘর তুলে। আমার মা
সুফিয়া বেগম বাঁধা দিলে সেলিম খাঁন সহ ১০-১২ জন মারধর করে। মায়ের চিৎকার শুনিয়া আমি আমার ভাই ও দুই বোন
গেলে আমাদের ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ব্যাপারে সেলিম খাঁন বলেন,
জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে,
আমরা ঘর তুলতে গেলে বাঁধা দেয়, এসময় সামান্য মারামারি হইছে, তেমন কিছু হয়নী বলে জানান।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান
জানান,থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।