নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে নাজমুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখমের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
নাজমুল বাঘারপাড়া উপজেলার আরজী বাসুয়ারি গ্রামের আবু তালেব সরদারের ছেলে। আহত নাজমুলের চাচা আলমগীর হোসেনের বাদী হয়ে সোমবার এ মামলা দায়ের করেন।
বসুন্দিয়া খানপাড়ার মৃত সেলিম খানের ছেলে আটক ইমামুল ইসলাম নয়ন(১৯) ও একই এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে রিপন হোসেনকে(২০) কে আসামি করা হয়েছে ।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তার ভাইপো নাজমুল রোববার দুপুর ১২টার দিকে বসুন্দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাঠে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। এসময় আসামিরা সেখানে গিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে নাজমুলের পেটে ও বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নাজমুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনিত হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে খুলনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তার অবস্থা এখনো আশংকাজনক।
এদিকে এই ঘটনায় বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে জানালে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে আসামি ইমামুল ইসলাম নয়নকে আটক করেন। তার কাছ থেকে দুইটি চাকুও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে আটকের অভিযান অব্যাহত থাকবে।