তপন দাস
নীলফামারী প্রতিনিধি
১১ বছরের রাবেয়া আক্তার। নীলফামারী সদর উপজেলার দুবাছুরী সরকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে হার্টের কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্কুলে যেতে পারছে না রাবেয়া। হার্টের ভিতরে একটি ছিদ্র রয়েছে। ধারদেনা ও জমানো কিছু টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন রাবেয়ার বাবা। চিকিৎসার অভাবে একমাত্র মেয়ের হার্টের ছিদ্র’র আকার বেড়েই চলেছে। মেয়েকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।
নীলফামারী সদর উপজেলার ১৫নং লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরী এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের একমাত্র সন্তান রাবেয়া।
মেয়ের এমন দূরারোগ্য ব্যধি সম্পর্কে বাবা রফিকুল বলেন, জন্মের পর রাবেয়া স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝে-মাঝে অসুস্থ হতে থাকে। খেলাধুলা কিংবা কিছু সময় দৌড়ালেই হাফিয়ে উঠত। গত কয়েকমাস আগে হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট দেখা দেয়। পাশাপাশি বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে দেখানো হয়। কিন্তু রোগ না সারায় চলতি বছরের বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভাসিটি হাসপাতালের ডাঃ সৈকত আলম কে দেখানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পরে হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। তিনিও বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার করে হার্টে ছিদ্র রয়েছে বলে জানান। রাবেয়ার সুস্থতার জন্য ডাঃ সৈকত আলম দ্রুত অপারেশনের কথা বলেন। তা নাহলে ছিদ্র আরো বড় হয়ে যাবে বলে জানান।
রাবেয়ার বাবা আরো বলেন, অপারেশনের জন্য প্রয়জন ৪/৫ লাখ টাকা। টাকার যোগাড় না থাকায় মেয়েকে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছি। চিকিৎসক আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অপারেশন করতে বলেছে। এদিকে চিকিৎসা না করাতে পারলে হয়তো মেয়েকে বাঁচাতে পারবেন না এমন চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন রাবেয়ার পরিবার। রাবেয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুরের কাজ করেন। মেয়ের চিকিৎসার সামর্থ্য নেই তাঁর। তাই নিরুপায় হয়ে একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ওই দম্পতি। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁরা সমাজের বিত্তবান এবং দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদেন জানিয়েছেন। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তারা সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন। তাদেরকে আর্থিক সাহায্য পাঠাতে বা বিকাশ করার জন্য যোগাযোগের নাম্বার ০১৩২২৬০৯৪৯২
Leave a Reply