বিশেষ প্রতিনিধি
নদীর পাড় নয়, বুকের পাজরের এক একটা করে হাড় ভাঙ্গতে শুরু করেছে হাঁটপাচিল- জালালপুর নদীর পাড়ের মানুষের।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ও কাজ নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নদী পাড়ের মানুষের অসহাত্ব নিয়ে কোন খেলায় মেতে উঠেছে তারাই ভাল জানেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা হাটপাচিল হতে এনায়েতপুর পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার নদীর তীর ১৭টি সাব সেক্টরে বিভক্ত করে নিদারুণ নির্বিঘ্নে নাকে সরিষার তেল দিয়ে উত্তম পন্থায় ঘুমিয়ে আছে।
নদীর কাজ কতটুকু হল কোম্পানি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন খোজ খবরই রাখছে না। নাম মাত্র কাজ শুরু হলেও তার পুরোটাই জালিয়াতি চক্রান্তে আচ্ছন্ন।
কথায় আছে ” উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট “। বর্ষা মৌসুমে নদীর পাড়ে থমকে থমকে কিছু পরিমাণ জিও ব্যাগ ড্রাম্পিং করা হলেও তা ছিল লোক দেখানো।
নদী পাড়ের মানুষের আহাজারি অসহায়ত্বের কান্না দেখবার কেউ নাই।
নদী পাড়ের মানুষের গাথা কথা ” আমাদের এলাকা তো এমপি-মন্ত্রীদের পৈতৃক একালা নয় তৎক্ষনাৎ নদী পাড়ের কাজে আরম্ভ হবে। আমরা তো ভুখা, নাই পেটে অন্ন, নাই কোন মাথা গোজবার থাই। কোথায় থাকবো, কিভাবে থাকবো এটাতো তাদের ভাবার বিষয় নয়।
তাদের চাওয়া একটা চাই বুড়িবুড়ি সম্পতি।”
কথায় আছে “তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্য জাতির রোগ” কথা আজ অবধি পর্যন্ত কথাটা সত্য।
সরকার বাজেট পাশ করে দিল, কাজের টাকা দিল। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন তাহলে এতটা কাজের গাফলতি কেন?
আমাদের অসহায়ত্ব নিয়ে আর কত টালবাহানা করে চলবে পানি উন্নয়ন বোর্ড?
আর এদিকে নেতারা আসছে আর মিথ্যা আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছে।
নেতা ও সরকারী কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত আসতেছে, নদীর পাড় ফিতা/ দড়ি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাপঝোকের কাজ করছে কিন্তু ফলস্বরূপ নদী পাড় মেরামতে কোন ভুমিকা রাখছে না।
ভুক্তভোগীরা মিথ্যা বানোয়াট আশ্বাসে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। তাদের দাবী আমাদের দেখার মত কেউ নেই, আমাদের আর্তনাদ বোঝবার মত ক্ষমতা আল্লাহ হয়ত ঐ সকল নেতাকর্মী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় বড় কর্মকর্তাদের দেয়নি।
ধ্বংস স্তুপের মধ্যে দিয়ে চলছে অনাহারে দিনযাপন ।
দারিদ্রতার ফলে নিজেদের বসতভিটা তৈরী করতে, নিজেদের বাসস্থান তৈরীতে অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে অত্র এলাকার নিরহ জনগোষ্ঠীর মধ্যে।
Leave a Reply