নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোর থেকে প্রতারনা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ডাউনলোড করে সেখানে নিজেদের নাম্বার বসিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপলোড দিতেন তারা।
পরে গ্রাহক সেই বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তাদেরকে কল করলে, তারা নিজেদেরকে ডাক্তার আবার কখনো সেলস ম্যানেজার পরিচয় দিতেন ।
চটকদারী বিজ্ঞাপন দিয়ে পন্য বিক্রি করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতেন তারা। শেষমেষ আসল পন্যের পরিবর্তে দিতেন বিভিন্ন ভেজাল পন্য। এ কাজে তারা ব্যবহার করতেন একাধিক মোবাইল ফোন, সিমসহ বিভিন্ন সরজ্ঞাম।
দির্ঘদিনধরে প্রতারণা করে আসলেও এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছেন যশোর কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা প্রতারক চক্রের এ তিনসদস্যকে আটক করেছেন।
রোববার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান।
আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিন পাহাড়তলীর বারকুয়াদা গ্রামের মৃত শরীফ হোসেনের ছেলে শাকিল হোসেন , খাগড়াছড়ি মানিকছড়ির জহিরুল আলমের ছেলে শুকুর আলী ও পাবনার সাথিয়া উপজেলার নুরদহের সালাহউদ্দিন শেখের ছেলে মহিউদ্দিন শেখ নিরব।
পুলিশ আরও জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতারণা মামলার এজাহার নামীয় আসামি শুকুর আলীকে ধরতে একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার বিকেলে চট্রগ্রামের বায়েজিদ বোস্তমী থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় পুলিশ তাদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ১২ টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ২২টি বাটন ফোন, ৩টি কম্পিউটার, ৬টি পেনড্রাইভ, ১টি ডিভিআর, ১টি ডিভিডি রাইটারসহ প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরজ্ঞাম উদ্ধার করা হয়। চলতি মাসেই তারা ২৩ লাখ টাকা বিকাশে লেনদেন করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম, তদন্ত ওসি একে এম সফিকুল আলম চৌধুরী, মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তাপস মন্ডল, অভিযানে অংশ নেয়া এসআই আনসারুল হক প্রমুখ।
পুলিশ জানায় প্রতারনা করে কেও পার পাবে না। সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনসাধারণ কেও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
Leave a Reply