মোঃ মামুন হোসাইন।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
বুক (১৫ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। বিশ্বের অন্যান্য
দেশের মতো বাংলাদেশও সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোতে দিবসটি পালন করা হয়।
প্রতি বছর বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের শিশুতোষ ক্যান্সারে প্রায় ৪-৫ শিশু আক্রান্ত হয়। দেশভেদে এই
আক্রান্ত শিশুদের শতকরা ২০ থেকে শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত অকাল মৃত্যুর শিকার হয়।
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেহের প্রধান ৫ টি অঙ্গ ফুসফুস,
স্তন,জরায়ু, খাদ্যনালি ও পাকস্থলী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
পুরুষরা ফুসফুস, খাদ্যনালি, লিবার বাকযন্ত্র ও মলদ্বার এবং
নারীরা স্তন,জরায়ু, ফুসফুস, ডিম্বাশয় ও খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
বাংলাদেশে এ রোগের ব্যাপারে
সঠিক এবং বৈজ্ঞানিক কোন নিরীক্ষা না থাকলেও ধারনা করা হয় যে, প্রতি বৎসর প্রায় ২০ হাজার শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে, মাএ ২৫ ভাগ রোগী (কেবল ঢাকা ও চট্টগ্রামে) পূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্হার আওতায় আসার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার বিভাগ
স্হাপিত হয়। তবে এ পর্যন্ত অনেক ক্যান্সার রোগী বাংলাদেশে চিকিৎসা নিয়ে আরোগ্য লাভ করেছেন।
এছাড়া, ২০০৪-২০২২ সালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ২৩,০০০ হাজার এবং আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫,০০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী।
প্রতিবছরই ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে, তাই শিশুদের সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার যেমন
পালং শাক, ব্রুকলি, ডিমের কুসুম, মটরশুঁটি, কলিজা, মুরগির মাংস, কচুশাক, কলা, মিষ্টিআলু, কমলা, শালগম,দুধ,
বাঁধাকপি, বরবটি, কাঠবাদামের
মতো ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
Leave a Reply