কে,এম,মোজাপ্ফার হুসাইন
যশোরে হরিহর নদের বালু তুলে বিক্রি করছেন ইউপি চেয়ারম্যান
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহর নদ খুঁড়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তিনি রোহিতা ইউপির চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন। এক্সকাভেটর মেশিন লাগিয়ে নদ থেকে বালু তুলে লুটে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। এনিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এক্সকাভেটরে বালু তোলায় নদে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের পাড় ভেঙে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে নদ থেকে বালু তোলায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রোহিতা ইউপির চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন রাজবাড়িয়া ও এড়েন্দা গ্রামের কয়েকজনকে দিয়ে ৮-১০ দিন ধরে রাজবাড়িয়া মোল্লাপাড়ায় হরিহর নদ গভীর করে খুঁড়ে বালু তুলছেন। এক্সকাভেটর দিয়ে নদ ২০-৩০ ফুট গভীর করে বালু তোলায় পাড়ের জমি ভেঙে নিচে চলে যাচ্ছে।
সরেজমিন রাজবাড়িয়া মোল্লাপাড়ায় দেখা গেছে, হরিহর নদের শুকিয়ে যাওয়া জায়গায় একটি এক্সকাভেটর চলছে। নদের ভেতরে ও পাড়ে রাখা আছে পাঁচ-ছয়টি বালু টানা বড় ট্রলি। নদের পাড়ে বসে কাজ তদারকি করছেন রোহিতা ইউপির চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজবাড়িয়া গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, রোহিতা ইউনিয়নে কয়েক কোটি টাকার রাস্তার কাজ এসেছে। সেসব রাস্তায় বালু দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন হরিহর নদ থেকে বালু তুলে পাড়ে জমা করে রাখছেন।
চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ১০ গাড়ি বালু তুলতে চাচ্ছিলাম। এখন আর তোলাব না। আমি কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছি না। এক্সকাভেটর তুলে নেব। অনেকেই হরিহর নদ থেকে বালু তুলেছেন।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব।’
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান জানান, ‘নদ খুঁড়ে বালু তোলার বিষয়টি জানতে পেরে আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। বন্ধ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply