নিজস্ব প্রতিনিধি:
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্রী জেসমিন আক্তার পিংকি নিখোঁজের ১০ দিন পর তার সহপাঠী আহসান কবীর অংকুরের বাড়ি থেকে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছেন যশোরের র্যাব-৬। জেসমিন আক্তার পিংকি (১৮) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট কাউরিয়া গ্রামে জাকির হোসেনের মেয়ে। তিনি যশোর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্ৰামের হত্যাকরি আহসান কবির অংকুরের বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে যশোর র্যাব-৬ এবং শার্শা থানা পুলিশের সহায়তায় নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিঙ্কির অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেন। এদিকে জেসমিন আক্তারের হত্যাকারী একই এলাকার আকবর আলির ছেলে আহসান কবির অংকুর (১৮)কে আটক করেছেন র্যাব।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, জেসমিন ও জেসমিনের হত্যাকারী অংকুর উভয়ই যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় জেসমিনকে আসামি অংকুর কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে এসে গত অনুমান ৯-১০ দিন পূর্বে গলা কেটে হত্যা করে জনশূন্য বাড়ির পশ্চিম পাশে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে দেয়।
সহপাঠীর হাতে খুন হলেন পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী লাশ মিলল সেফটি ট্যাংকে
তিনি আরও জানান, জেসমিন নিখোঁজ হবার পর জেসমিনের পিতা যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেন। তার পর থেকে ছায়া তদন্তে নামেন যশোর র্যাব-৬। পরবর্তীতে তদন্ত করে অভিযুক্তের মাধ্যমে শুক্রবার লাশ উদ্ধার করাসহ আরো দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন । অন্য আটককৃতরা হলেন মুল হত্যাকারীর সৎ মা হোসনেয়ারা ও বড় ভাই রমেল। তবে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে আসামী স্বীকার করেছে।
প্রথমে মেয়েটি শ্বাসরোধ করে ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে অংকুর,একাই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায়। মূল আসামি সহ তার মা এবং ভাইকে র্যাব-৬ গ্রেফতার করেন এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এব্যাপার আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply