কে,এম,মোজাপ্ফার হুসাইন
১৫ টাকা মূল্যের একটি সিদ্ধ ডিম, ৫ টাকার এক প্যাকেট লেক্সাস বিস্কুট, একটি চকো পাই কেক এবং ৫ টাকা মূল্যের একটি পাকা কলা দিয়ে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের বিদায় করা হচ্ছে। অথচ প্রতি শিক্ষককের জন্য নাস্তা বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ৮০ টাকা। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সবমিলে দেয়া নাস্তার মূল্য ৩৫ টাকা। বাকী টাকা কোথায় যাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে মনিরামপুর উপজেলার স্কুল, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৭৩৭ জন শিক্ষক কারিকুলাম প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। ৫ দিনের প্রশিক্ষণে শনিবার দু’দিন সমাপ্ত করেছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, আসাদুজ্জামান, আব্দুর রহমানসহ একাধিক শিক্ষক এতথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানিয়েছে, উপজেলায় এ কারিকুলাম প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া ১ হাজার ৭৩৭ জন শিক্ষকের জন্য নাস্তা বাবদ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তা মাত্র ৬০ হাজার ৭শ’ ৯৫ টাকায় বিদায় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রতি শিক্ষককে ৪০ টাকার নাস্তা দিচ্ছি। দপ্তরে লোক সংকট থাকায় মনিরামপুরে আয়োজন করতে না পেরে যশোর থেকে ভাড়া দিয়ে নাস্তা আনা হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থী বাদে ৫২ জন প্রশিক্ষক ও তিন কেন্দ্রের স্টাফদের জন্য আরো ১০০ প্যাকেট নাস্তা বেশি আনতে হচ্ছে। সেখানে বাড়তি খরচ হচ্ছে।
বিকাশ চন্দ্র সরকার দাবি করেন, এছাড়া আরো কিছু খরচ আছে। আমি একটি টাকাও রাখছি না। যতদূর সম্ভব, আমি স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করি। তবে বিকাশ চন্দ্র সরকারের দেয়া তথ্য হিসাব করলেও তিনি প্রশিক্ষণ বাবদ দিনে ৫০ হাজারের বেশি টাকা পকেটে ভরছেন বলে তথ্য মিলছে। যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আজম বলেন, সামনে আরো প্রশিক্ষণ আছে। তখন নাস্তার মান উন্নত করার জন্য বলে দেব।
Leave a Reply