রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।
পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে বিয়ের পর শ্যালককে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে নগদ সাত লাখ টাকা ও প্রায় সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ফারহান (৩৯) নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী শহরের তালতলা এলাকার জাফর মিয়ার বাসা থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ভুয়া পুলিশ ফারহান রংপুরের পীরগাছার কাসেম মণ্ডলের ছেলে।
এসময় ফারহানের মোবাইলফোন থেকে পুলিশের পোশাক পরিহিত ও পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি পাওয়া যায়।
জানা গেছে, আটক ব্যক্তি এর আগে আরেকটি বিয়ে করেছেন। ওই সংসারে তার এক ছেলে আছে। আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে এবং পুলিশ সদস্যের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
জাফর মিয়া জানান, ফারহান সম্পর্কে তার মেয়ে জামাই। প্রায় ১০ মাস আগে ডিএসবির এসআই পরিচয় দিয়ে তার মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক মাস পর তার ছেলে সৈয়দ অমিত হাসানকে বিআরটিএর অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে নগদ সাত লাখ টাকা এবং তার মেয়ের সাড়ে তিন ভরি সোনা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। সেটি নিয়ে তার ছেলে খুলনা বিআরটিএতে চাকরতে যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারেন তা ভুয়া।
জাফর মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটিক্ষেত্রেই সে প্রতারণা করেছে। বিয়ের পর আমার মেয়ের ভরণপোষণও দেয়নি। এই প্রতারকের বিচার হওয়া উচিত। টাকা ও সোনা নেওয়ার পর যে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেক কষ্টে লোভ দেখিয়ে তাকে আমার বাড়িতে এনেছি।
তবে অভিযুক্ত ভুয়া পুলিশ ফারহান সদস্য ফারহান দাবি করেন, তিনি চাকরির জন্য তিন লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তবে সেই টাকা আরেকজনকে দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি পুলিশ পরিচয়ে বিয়ে করেননি। এমনকী পরবর্তীকালে কখনো পুলিশ পরিচয়ও দেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মাহবুব হোসেন বলেন, স্থানীয়রা ভুয়া পুলিশ আটকে রেখেছে এমন খবর পেয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে আটক করেছি।