1. admin@gangchiltv.com : admin :
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ যুবলীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত নড়াইলে হাতুড়ি পেটার শিকার কলেজ ছাত্র। পটুয়াখালী দুমকি উপজেলায় আত্মহত্যার প্ররোচনা কারি কলেজের প্রভাষক মোঃ জাকির মাস্টারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। চুরি মামলার ০৫টি গরু উদ্ধারসহ মূল ০১জন আসামি গ্রেফতার এস.এস.সি. ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে কিসের ফিস নেওয়া হয়!!! বিএনপি ৫ বছরে ঠাকুরগাঁওয়ের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি – রমেশ চন্দ্র সেন নড়াইলে নেতা-কর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত অস্ট্রেলিয়ার আওয়ামী নেতা রোমেল। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ভান্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ বাংলাদেশ আ,লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক’র লোহাগড়ায় আগমন ও গণসংযোগ।  কেশবপুর উপজেলা ভূমি অফিসের উদ্যোগে ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত দিবস আজ

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৭ ৯৬বার পঠিত

 

মোঃ শফিকুল ইসলাম দুলাল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

আজ ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও পাকিস্তানী হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁও পাক হানাদার মুক্ত হয়। ঠাকুরগাঁও তখন মহকুমা ছিল। ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় জেলার ১০টি থানা মিলে ওই মহকুমা ছিল। এ অঞ্চলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চুড়ান্ত বিজয় আসে আজকের এই দিনটিতে।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাক হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সহজ সরল মানুষের ওপর। এ সময় হানাদাররা গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠণ ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এরপর ১৫ই এপ্রিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত ঠাকুরগাঁওয়ের ইসলামনগর থেকে ছাত্রনেতা আহাম্মদ আলী, ইয়াকুব আলী, মাজারুল, দবিরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান ও সিরাজউদ্দীনকে ধরে এনে পাক হানাদার বাহিনী ঠাকুরগাঁও ক্যাম্পে আটক করে রাখে। পরে তাদের হত্যা করে টাঙ্গন নদীর পারে ফেলে রাখা হয়। যেখানে বর্তমানে বধ্যভুমি গড়ে তোলা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও তখন ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশার। এ সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শক্রমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাত ছাড়া হওয়ার পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এরপর তারা প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ে। ২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচুর গোলাগুলি শুরু হয়। ওই রাতেই শক্রবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটে ২৫ মাইল নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর ভোররাতে ঠাকুরগাঁও শহর শক্রমুক্ত হয়।

সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার পিতা শেখ শহর আলী ও তার ভাই শেখ বহর আলীসহ ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে হত্যা করে তাদের মরদেহ আব্দুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি কূপে ফেলে দেয়। হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা গণহত্যা চালায় সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গ্রামে। সেখানে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় আশ-পাশের অনেক গ্রামের প্রায় তিন হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে পাকবাহিনী গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পরে তাদের মরদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থানে গণহত্যা চালায় পাকবাহিনী ও তার দোসররা। এরই মধ্যে সুসংগঠিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিকামি মানুষ। তারা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলে দুর্বার প্রতিরোধ।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর পতনের পর এ এলাকার সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। আনন্দ উদ্বেলিত কন্ঠে ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি আর হাতে প্রিয় স্বদেশের পতাকা নিয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে তরুণ-যুবক সবাই। এদিন সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও শহরসহ জনপদ ও লোকালয়ে মানুষ জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বের হয় আনন্দের মিছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ঠাকুরগাঁও শহর।

দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কার্যালয় চত্বর হতে একটি আনন্দ র‌্যালি বের হয়ে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম বিডি হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও’র উদ্যোগে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (রাত ১:৩৮)
  • ৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
  • ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © গাঙচিল টিভি ©
Theme Customized By Shakil IT Park