1. admin@gangchiltv.com : admin :
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে দলিত আদিবাসীদের অনূকুলে সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা নড়াইলের জঙ্গলগ্রামে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প- ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গলাচিপায় দুস্থ অসহায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ পটুয়াখালীতে কমলাপুরে চাদাবাজদের বিরুদ্ধে অটোরিক্সা শ্রমিকদের মানববন্ধন নড়াইলের পেড়লী যুবলীগ কর্মী আজাদ হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ জনগনের মাঝে তুলে ধরার লক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে; সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। যশোরে ডিশ বাবুর বিরুদ্ধে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে মারপিটের অভিযোগ নড়াইল কালিয়ায় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে হাজারো মানুষের ভীড়  দুই সাংবাদিকের মৃত্যুতে নড়াইলে স্মরণ ও শোক সভা অনুষ্ঠিত।

চারটি ফেরিঘাটে ভাঙন, ঝুঁকিতে ৩০০ পরিবার

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৮১ বার পঠিত

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।

৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দফা ভাঙনের কবলে পড়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। ভাঙনের কবলে আছে ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ফেরিঘাট।

ফেরিঘাট পাকা সড়কের খুব কাছে পদ্মার ভাঙন চলে এসেছে। এ জন্য ঝুঁকিতে রয়েছে চারটি ঘাট। গত বৃহস্পতিবার তোলা
ফেরিঘাট পাকা সড়কের খুব কাছে পদ্মার ভাঙন চলে এসেছে। এ জন্য ঝুঁকিতে রয়েছে চারটি ঘাট।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে চারটি ফেরিঘাট ভাঙনের মুখে পড়েছে। এসব ফেরিঘাট রক্ষায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পদ্মার ভাঙনে সেখানকার দুটি খাবার হোটেলসহ পাঁচটি দোকান নদীতে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে একটি ফেরিঘাট দুই মাস ধরে বন্ধ আছে। ঝুঁকিতে আছে স্থানীয় সিদ্দিক কাজী পাড়া, বাহির চর সাত্তার মেম্বার পাড়া ও শাহাদৎ মেম্বার পাড়ার প্রায় ৩০০ পরিবার।

সিদ্দিক কাজী পাড়ার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত সালাম ব্যাপারী বলেন, আগে ঢল্লাপাড়ায় তাঁর নিজস্ব জমি ও বাড়ি ছিল। সাত বছর আগে তা নদীগর্ভে গেলে সিদ্দিক কাজী পাড়ায় জমি ইজারা নিয়ে বসতি করেন। কয়েক দিন আগে চোখের পলকে ভেঙে নদীতে চলে যায়। এখন কোথায় যাবেন তিনি, জানেন না। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভাঙনে ফেরিঘাট–সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ার আবদুর রহিম ব্যাপারী, আশিক ব্যাপারী, হান্নান কাজী, মকাই মোল্লা, একেন ব্যাপারী ও রেজাউল মোল্লার ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২৪ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বড় ঢেউ পদ্মা নদীর পাড়ের দোকানে আছড়ে পড়ে। এতে আক্কাছ মণ্ডল ও শাহিন শেখের খাবার হোটেল, এখলাস দেওয়ান, রফিক সরদার ও বাবলু খার মুদিদোকান নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তা ছাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়ায় যানবাহন ও যাত্রী কমে যাওয়ায় ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। সেই রাতে নদীর পাড়ে বেঁধে রাখা পাঁচটি বড় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের ওপর পাড় ভেঙে পড়ায় সেগুলো তলিয়ে যায়। দুটি ট্রলার উদ্ধার করা গেলেও তিনটির হদিস পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ খার দুটি ট্রলার এবং বাবু সরদারের একটি বড় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার আছে। ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ফেরিঘাট–সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ায় ভাঙনে ছয়টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মণ্ডল বলেন, ভাঙন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে বহুবার বলেছেন। শুধু শুনেই আসছেন নদী শাসন হবে, কিন্তু অগ্রগতি নেই। স্থানীয় সিদ্দিক কাজী পাড়া, শাহাদৎ মেম্বার পাড়া ও বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়ার ৩০০ পরিবারের সদস্যরা নদীভাঙনের ঝুঁকিতে আছেন। এখন তাঁরা দ্রুত নদীশাসন দেখতে চান।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগের জন্য দৌলতদিয়ায় সাতটি ও পাটুরিয়ার পাঁচটি ঘাট ছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নম্বর ঘাট ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে, যা এখনো চালু হয়নি। ২৪ অক্টোবর ঝড়বৃষ্টি ও ভাঙনে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ হয়। মেরামত শেষে ২৫ অক্টোবর ৪ নম্বর এবং ২৬ অক্টোবর ৩ নম্বর ঘাট চালু হয়। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর আরেক দফা ভাঙনে ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ হয়ে এখনো চালু হয়নি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দফা ভাঙনের কবলে পড়ে ফেরিঘাট। ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ফেরিঘাট সড়কের খুব কাছে ভাঙন চলে এসেছে। ফের ভাঙন হলে চারটি ঘাট সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিকল্প হিসেবে ৭ নম্বর ঘাটের উজানে নতুন আরেকটি ঘাট চালু করতে উপজেলা প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আবদুস সাত্তার বলেন, তিন দফা ভাঙনে দৌলতদিয়ার তিনটি ফেরিঘাট কয়েক দফা বন্ধ হয়। মেরামত করে চালু করলেও চারটি ঘাট ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না করলে যানবাহন পারাপারে সমস্যা হতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ৫ নম্বর ঘাটে চালুর বাস্তবতা নেই। পানি আরও কমলে সংযোগ সড়ক তৈরির পর ঘাট চালুর চেষ্টা করা হবে। ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডিব্লউটিএ বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। বিকল্প ঘাট তৈরির সিদ্ধান্ত এলে করা হবে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (বিকাল ৪:০৪)
  • ১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ ©  গাঙচিল টিভি
Theme Customized By Shakil IT Park