রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পরীক্ষা অন্যের পরিবর্তে দিতে এসে এক তরুণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত হয়েছেন। তাঁকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শুক্রবার সকালে রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত তরুণের নাম শাকিল হোসেন (২২)। তিনি পাংশা উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। শাকিল বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন শাকিল।
আজ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ ও বিএসএসের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা ছিল। পাংশা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে সজীব খান নামের একজনের হয়ে পরীক্ষা দিতে (প্রক্সি) এসেছিলেন শাকিল। সজীব চট্টগ্রামে চাকরি করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা খাতুন, পাংশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা খাতুন গাংচিল টিভি নিউজকে বলেন, আজ সকাল নয়টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের ছবি ভালোভাবে মিলিয়ে খাতায় পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সই করার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া ছিল। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে শাকিলের চেহারার অমিল পাওয়া যায়। এরপর তাঁর বাবার নাম জানতে চাওয়া হয়। তিনি তা বলতে পারেননি। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন শাকিল। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন অনুযায়ী দণ্ড দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।