মোঃ মামুন হোসাইন।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘সিএাং ‘এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবে একজন নিহত হয়েছেন এবং দু’শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত ও শতাধিক ঘের পুকুরের
মাছ ভেসে গেছে। তাছাড়া জেলায় প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটুয়াখালীর প্রতাপপুর লঞ্চ টার্মিনালে নোঙ্গর করা ইটভর্তি
ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ নুর ইসলাম (৪০)এর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা। নিখোঁজ নুর ইসলাম লোহালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নাজিরপুর গ্রামের
রশিদ মোল্লার ছেলে।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাপপুর লঞ্চ টার্মিনালে নোঙ্গর করা অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ে দমকা হাওয়ার ঝাপটায় ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ওই ট্রলারের মালিক জলিল
মোল্লা ট্রলারে ছিল তবে ট্রলারটি
ডুবে গেলে তিনি তীরে উঠে আসতে সক্ষম হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল ৩ ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারের ভিতর থেকে মৃত অবস্থায় নুর ইসলাম এর লাশ উদ্ধার করে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলায় দু’শো
কাঁচা ঘর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ৫ খেতে ৬ফুট
পানিতে তলিয়ে গেছে, শতাধিক
মাছের ঘের ও পুকুর।
এদিকে আমনের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে কৃষি
বিভাগ। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানাতে পারেনি কৃষি বিভাগ। দমকা হাওয়ায় কিছু কাঁচা ঘর বাড়ি ও গাছপালা উপড়ে ব্যাপক ক্ষতি
হলেও তার হিসাব এখনও জানাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় সিএাং এ পটুয়াখালীতে তেমন বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে এান পূর্নবাসন কর্মকর্তা
সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন,প্রাথমিক অবস্থায় ১৭৯টি কাঁচা ঘর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
তবে উপজেলা গুলো থেকে সর্বশেষ প্রতিবেদন পাওয়ার পর সঠিক সংখ্যা বলতে পারবো বলে তিনি জানান।