মিরপুর প্রতিনিধি
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ প্রখ্যাত আল-কুরআন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম বরকত-এ-খোদা। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সূফী সাধক, ইসলামী চিন্তাবিদ, তাসাউফ গবেষক, লেখক ও সম্পাদক প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এম. সাইদুর রহমান আল্-মাহবুবী (মাঃআঃ) ও তাঁর মাতা বিশিষ্ট লেখিকা কুতুবুল আকতাব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা (মাঃআঃ) । তিনি ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার মতিঝিলের আরামবাগস্থ দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে জন্মগ্রহন করেন । তাঁর জন্মের পূর্বে তাঁর পিতা-মাতা বহু ভালো ভালো স্বপ্ন দেখেন । পরবর্তীতে তাঁর জন্মের সময় বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা দেখে তাঁর পিতা-মাতারর বুঝতে বাকি রইলো না যে, একদিন সে উচ্চস্তরের একজন অলী-আল্লাহ্ হবে । এছাড়া একজন বিখ্যাত জ্যোতির্ষী তাঁর পিতার ছাত্র জীবনে তাঁকে দেখে ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন যে, “আপনার দু’টি ছেলে সন্তান হবে । তারা দুইজনই হবে আল্লাহ ওয়ালা । তবে আপনার বড় সন্তান হবে বিশ্বখ্যাত আল্লাহর-অলী । যার সুনাম সু-খ্যাতি হবে বিশ্বজোড়া । তাঁর দাদা ছিলেন বিশিষ্ট সূফী সাধক হযরত আবদুর রহমান সরকার (রহঃ) ও তাঁর দাদী আমেরিকান নাগরিক মিসেস আনোয়ারা বেগম ।
প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম বরকত-এ-খোদা পিতা-মাতার আদর স্নেহের পাশাপাশি নানাজান ও নানীজানের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন । তিনি সব সময় তার প্রিয় নানাজীর খেদমতে থাকতে পছন্দ করতেন । শুধু তাই নয় শৈশবেই তিনি তাঁর নানাজীর সফরসঙ্গী হয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধর্ম প্রচারের কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন
প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম. বরকত-এ-খোদা শিক্ষা জীবনে একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন । তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং বৃটিশ কাউন্সিল হতে ইংরেজী ভাষার সর্বোচ্চ কোর্স সম্পন্ন করেন ।
পরবর্তীতে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস জানার লক্ষ্যে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে “ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি” বিভাগে বি.এ. অনার্স ও এম.এ. মাষ্টার্স পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেন । পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.এম.এল. হতে আরবী ভাষার উপর সর্বোচ্চ কোর্স সম্পন্ন করেন । তাঁর ব্যাচে আরবী বিভাগে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । তাঁর শিক্ষা ক্ষেত্রে এইরূপ ফলাফলের কারণে অল্পদিনেই শিক্ষক ও ছাত্র সমাজে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পরে । এরপর তিনি দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ হতে ইসলামিক স্টাডিস বিষয়ে বি.এ অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডেল লাভ করেন ।
গোল্ড মেডেল প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অনুষ্ঠানে সবার সামনে উচ্চস্বরে বলেছিলেন, “যেমন শ্রেষ্ঠ পিতা, যেমন শ্রেষ্ঠ মা, ঠিক তেমনই শ্রেষ্ঠ সন্তান ।” সে সময় ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের চেয়ারম্যান বললেন, “না স্যার! ছেলে একটু বেশী ।” একথা শুনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই উচ্চস্বরে হাসতে লাগলেন । বিপুল করতালির মাধ্যমে সবাই তাঁকে অভিনন্দন জানালেন । প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম বরকত-এ-খোদা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবনে প্রতিটি সেমিস্টারে স্কলারশিপ লাভ করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ।
পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম. বরকত-এ-খোদা বিদেশের মাটিতে গমণ করেন । তাঁর দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও সুকঠিন অধ্যবসায় ও গবেষণার ফলশ্রুতিতে উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরূপ বৃটেনের বিখ্যাত কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি হতে তিনি “A Study on Past and Present of Muhammadi Islam” (মোহাম্মদী ইসলামের অতীত ও বর্তমান) বিষয়ে গবেষণার জন্য পি-এইচ.ডি. ডিগ্রী লাভ করেন । তাঁর এই গবেষণার সুপারভাইজার ছিলেন- কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির ফিলোসফি ও রিলিজিয়ন স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. বার্নহার্ট জিও এডওয়ার্ড এবং কো-সুপারভাইজার ছিলেন- ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এম.এ.এস. আব্দুল হালিম । তাঁর এই পি-এইচ.ডি থিসিস কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন-এর শিক্ষকদের এতটাই ভালো লেগেছে যে, কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন তাদের ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরীতে মডেল থিসিস হিসেবে এই থিসিসটি বিশেষভাবে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । তাঁর পি-এইচ.ডি. ডিগ্রী লাভের সংবাদ বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় ৬৭টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে । বর্তমানে তিনি কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির আজীবন এল্যামনাই সদস্য ।
প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম বরকত-এ-খোদা’র শৈশব থেকেই মুসলিম হিসেবে আল্ কুরআন শেখার খুব আগ্রহ ছিল । তাই তিনি শৈশবে গৃহধর্মীয় শিক্ষকের কাছ থেকে আল্ কুরআন শিক্ষা করেন । অতঃপর বেলি প্রিপারেটরী স্কুল থেকে প্লে গ্রুপে কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে পুরস্কার লাভ করেন । পরবর্তীতে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আরো বহু পুরস্কার লাভ করেছেন । এরপর তিনি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কেরাত সংঘঠন ‘বিশ্ব কেরাত সংস্থা’র প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্বারী ড. আহমেদ নাইনা-এর কাছ থেকে আল্-কুরআন পরিপূর্ণভাবে জ্ঞান লাভ করেন ।
বর্তমানে প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম. বরকত-এ-খোদা দেশে ও বিদেশে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে প্রখ্যাত আল্-কুরআন বিশেষজ্ঞের মর্যাদা লাভ করেছেন । তাঁর তেলাওয়াত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হয়েছে । শুধু তাই নয়! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এই আল্-কুরআনের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব আল্-কুরআন-এর ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ।
প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম. বরকত-এ-খোদা শিক্ষা জীবন শেষ করে ধর্ম প্রচারে পরিপূর্ণ আত্মনিয়োগ করেন । এ লক্ষ্যে তিনি দেশে-বিদেশে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে সফর করেছেন । দেশে-বিদেশে তাঁর মনোমুগ্ধকর ও গাম্ভীর্যপূর্ন আলোচনা শুনে লক্