মোঃ মামুন হোসাইন।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চারাবুনিয়া গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য শাহআলম হাওলাদার এর সাজানো ফাঁদে ফেলে এক কিশোরী (২০) কে ধর্ষন চেষ্টা ও ভিকটিম সহ পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে. ভিকটিম পরিবারের তথ্য অনুযায়ী গত শনিবার (১৭’ই-সেপ্টেম্বর-২০২২ ইং) তারিখ রাত আনুমানিক ১০ টার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
ভিকটিম এলাকা থেকে বিতাড়িত করার কারনে তার মা বলেন, অসুস্থ রোগী দেখতে যাওয়ায় মেয়েকে ঘরে একা রেখে যেতে হয়েছে। এমন সুযোগ যেনে সাবেক মেম্বার শাহআলম হাওলাদার তার নাতী মামুনকে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করে।তিনি বলেন, মেম্বার তার মামা সম্পর্ক হন পুর্বে মা খালাদের জমি জমার বিরোধের জের ধরে প্রতিশোধ নিতে এমন সাজানো ফাঁদ পাতে। যাতে তার নাতীর সঙ্গে ভিকটিমকে বিবাহ করিয়ে সম্পত্তি দখল করতে সুবিধা হয়। এবিষয়ে এলাকার কয়েক যুবক ঘটনার সময় তাদের মোবাইল ফোনে ছবি তুলে রাখার কথাও বলেন।তবে সরেজমিনে গিয়ে ছবি তোলা যুবক রুবেলকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।তার সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করলে ছবি ডিলিট হয়ে গেছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ভিকটিমের মা প্রতিবেদকে কেঁদে কেঁদে বলেন, আমরা ভয়ভীতির মধ্যে দিনকাটাচ্ছি কয়েকটি শোকের মধ্যে দিনকাটাচ্ছি আমরা বাড়িতে উপস্থিত না থাকা অবস্থায় এসমস্ত ঘটনা ঘটিয়েছে সাবেক মেম্বার শাহআলম হাওলাদার।এবং ঘটনার রাতে আমাদের অনুপস্থিতিতে কাজী ডেকে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করে ভিকটিম তাতে অসম্মতি জানালে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে রেখেছে কোন আইনি পদক্ষেপ নিলে মেম্বারের ছেলেরে এসে তাদের জবাই করে হত্যা করতে পারে বলে জানান।ভয়ে কোন কিছু করতে পারছেনা ভিকটিমের অসহায় দরিদ্র পিতা মাতা।
এব্যাপারে ভিকটিমের আপন ছোট খালা বলেন ভিকটিম (২০) কে মেম্বারের মেয়ের ঘরের নাতি মামুনের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তারা রাজি না থাকায় সুযোগ বুজে রাতের আধারে এমন ন্যাকারজনক ঘটনা ঘটায়।তিনি বলেন, খালি ঘরে এসে একটা যুবতি মেয়েকে টেনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলো এর বিচার হওয়া উচিত তবে ভয়ভীতির কারনে কোথাও কারো কাছে যেতে পারছেন না তারা কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
স্থানীয় সুত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনা শুনেছে তারাও এমন নিন্দা জনক ঘটনাকে গুরুতর অপরাধ বলে আইনের মাধ্যমে অপরাধীর বিচার হওয়া উচিত বলে জানান।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার শাহআলম হাওলাদার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি পুরো ঘটনাকে কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে প্রতিবেদকে উল্টো পাল্টা জবাব দেন এসব বিষয় তিনি কিছুই জানেনা দাবি করে তার নাতীর সঠিক নাম ঠিকানা বলতে পারেন না বলে এরিয়ে যান।
গোপন সুত্রে জানাগেছে, এনিয়ে পরের দিন রবিবার এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাবেক মেম্বার শাহআলম হাওলাদার কথিত নেতাদের মারিফতে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিছু লোকের মুখ বন্ধ করেন। আর ভিকটিমদের চুপ হয়ে যেতে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
Leave a Reply