1. admin@gangchiltv.com : admin :
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে দলিত আদিবাসীদের অনূকুলে সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা নড়াইলের জঙ্গলগ্রামে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প- ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গলাচিপায় দুস্থ অসহায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ পটুয়াখালীতে কমলাপুরে চাদাবাজদের বিরুদ্ধে অটোরিক্সা শ্রমিকদের মানববন্ধন নড়াইলের পেড়লী যুবলীগ কর্মী আজাদ হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ জনগনের মাঝে তুলে ধরার লক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে; সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। যশোরে ডিশ বাবুর বিরুদ্ধে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে মারপিটের অভিযোগ নড়াইল কালিয়ায় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে হাজারো মানুষের ভীড়  দুই সাংবাদিকের মৃত্যুতে নড়াইলে স্মরণ ও শোক সভা অনুষ্ঠিত।

বাগেরহাট মটর সাইকেল চালকদের দুঃসংবাদ।। ঘরে বিআরটিএ, রোডে ট্রাফিক! নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৩২ বার পঠিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি ।।
বাগেরহাটের মটর সাইকেল চালকদের জন্য “ঘরে বিআরটিএ,রোডে ট্রাফিক’ এই
প্রবাদ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালিত হচ্ছে। চলতি বছরের আট মাসে বাগেরহাট
বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইন্সেস গ্রহিতাদের নিকট থেকে অর্ধকোটি টাকা
টাকার বেশি নিয়েছে। আর এই একই সময়ে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিয়েছে
৩৫৯৩ টি। যা থেকে শুধু জরিমানা আদায় করেছে এক কোটি ৩১ লক্ষ ৩৯ হাজার
টাকা। অন্য সুযোগ সুবিধাতো নিয়েছে এর চেয়ে আরও বেশি। বাগেরহাট
বিআরটিএ থেকে ৫/৬ বার পরীক্ষা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না ড্রাইভিং লাইন্সেস।
৩০/৩৫ বছর মটর সাইকেল চালিয়েও বাগেরহাট বিআরটিএতে ড্রাইভিং লাইন্সেস
পরীক্ষায় অংশ নিয়েও ফেল করতে হয়। শুধু বাঁকা পথে বিশেষ তদ্বীরে মেলে ড্রাইভিং
লাইন্সেস। আর বিআরটিএ কর্মকর্তাদের দূব্যবহার তো নিত্য সঙ্গী। এ সকল কারণে
বাগেরহাট বিআরটিএ অফিস বাদ দিয়ে বাগেরহাটের ব্যাপক সংখ্যাক লোক
পারর্শবতীর্ জেলায় লাইন্সেসের জন্য চলে যাচ্ছে। বিআরটির খুলনা অফিস সূত্রে
জানাগেছে, গত মাসে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে বাগেরহাটে সর্বনিম্ন
ড্রাইভিং লাইন্সেসের কাজ হয়েছে। যেখানে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরার মত জেলায়
গত মাসে প্রায় এক হাজার থেকে হাজারের উর্দ্ধে ড্রাইভিং লাইন্সেস হয়েছে।
এছাড়া নড়াইলের মত ছোট জেলাও গত মাসে প্রায় ৫শত ড্রাইভিং লাইন্সেস
হয়েছে। সেখানে বাগেরহাটের মত বড় জেলায় গত মাসে দুই শতাধিক লাইন্সেস
হয়েছে। এই লাইন্সেসের অধিকাংশ আবার বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে হয়েছে বলে
অভিযোগ রয়েছে।
বাগেরহাট বিআরটিএ সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের ৮ মাসে বাগেরহাটের
ডিসিটিবি বোর্ড থেকে ড্রাইভিংয়ের জন্য পাশ করানো হয়ে ২৪শ জনকে।
একই সময়ে বাগেরহাট বিআরটিএ থেকে নতুন গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া
হয়েছে দুই হাজারের বেশি আর প্রায় দেড়শত গাড়ীর ফিটনেস হয়েছে। যার
অধিকাংশ বিশেষ সুবিধা ছাড়া কেউই সম্পন্ন করতে পারে নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএ’র সাথে সংশ্লিষ্ট এক মটর সো—রুমের
কর্মকর্তা জানান, বিআরটিএ অফিস এখন মটর সাইকেলের সো—রুমের মাধ্যমে
বিশেষ সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে। তাদের নির্ধারিত লোকের কাছে
চাহিদামত টাকা দিলে সব কিছু দ্রুতই সম্পন্ন হয়। না হলে চলে দীর্ঘ
ঘূরাঘুরি। এ ক্ষেত্রে ড্রাইভিং প্রতি ২০০০ থেকে ২৫শ, নতুন গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশনেলাগে ১২শত থেকে ১৫শ, আর গাড়ীর ফিটনেস বাবদ দেওয়া লাগে গাড়ী প্রতি ২৫শ।
এর মধ্যে মাঝে মধ্যে দুই/এক জনের সুপারিশ গুলোর কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল।
বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য ও বিআরটিএ অফিসের এক নাম প্রকাশ না করার শর্তে
একাধিক ব্যক্তি জানান, গত ৮ মাসে শুধু ড্রাইভিং লাইন্সেস বাবদ ৪০ লক্ষাধিক
টাকা, নতুন গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা আর ফিটনেস বাবদ ৩ লক্ষ টাকার
বিষেশ সুবিধা নিয়েছে বিআরটিএ মটরযান পরিদর্শক। এছাড়া মটরযান
পরিদর্শকের বিভিন্ন দূর্ব্যবহারের কারণে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে
অভিযোগ দিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। কিন্তু কোন প্রতিকার মিলছে না। যতই
অভিযোগ দেওয়া হোক না কেন মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরীর সুবাদে তিনি
ধরাকে সরা জ্ঞান পর্যন্ত করছে না। নিজের ইচ্ছামতই চালিয়ে যাচ্ছেন সকল
কার্যক্রম।
বাগেরহাটের প্রতিটি ডিসিটিবি বোর্ডে দুই থেকে তিনশত লোকে
ড্রাইভিং লাইন্সেসের জন্য অংশ নিলেও পাশ করে মাত্র যারা বিশেষ সুবিধা দেয় তার।
আর এই সুবিধা মটর সাইকেল সো—রুমের মাধ্যমে নেওয়া হয়। বিআরটিএ
কতৃর্ক নির্ধাতির মটর সাইকেল সো—রুমের নির্ধারিত লোক বিআরটিএর
নির্ধারিত লোকের নিকট টাকা না দিলে মেলে না ড্রাইভিংয়ে পাশ। বাগেরহাটের
যে কোন পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৬০ থেকে ৭০ এর উপরে হলেও। বিআরটিএ তে
পরীক্ষা দিলে ৪০ থেকে ৪৫ এর উপরে হচ্ছে না পাশ। গত আগষ্ট মাসের ৮ তারিখে
পরীক্ষা দেয় দুই শত জনের উপরে। কিন্তু পাশ করে ১১৮ জন। ২২ তারিখ পরীক্ষা দেয় দুইশত
জনের উপরে এখানেও পাশ করে ১২০ জন। আর ২৯ আগষ্ট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের
সার্বক্ষনিক উপস্থিতিতে পরীক্ষা দেন ২১২ জন। এই বোর্ডেও পাশ করে ৮৮ জন। এই
পরীক্ষা গুলোতে মাঠে যারা পাশ করে পরে রেজুলেশনে তাদের নাম ওঠে না। ভিন্ন নামে
ভিন্ন ব্যক্তিকে পাশ দেখিয়ে রেজুলেশন তৈরী করা হয়। মূলত পরীক্ষার প্রশ্ন করা, খাতা
দেখা ও রেজুলেশন লেখার কাজ করেন বিআরটিএ’র মটরযান পরিদর্শক। আর ফিল্ডে
পরীক্ষা নেওয়ার সময়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্ত,
বিআরটিএ’র মটরযান পরিদর্শক থাকেন। যেটা শুধুই লোক দেখানো বলে অনেক
পরীক্ষার্থী মন্তব্য করেন।
৩৫ বছর মটর সাইকেল চালানো সদরের রেজা, আরাফাত, রামপালের ওমর ফারুক, মংলার
হাসান, চিতলমারীর নাজমুস সাকিবসহ ডিসিটিবির পরীক্ষায় অংশ নেওয়া
একাধিক ব্যক্তি বলেন, ঘরে বিআরটিএ, রাস্তায় ট্রাফিক। তাদের মধ্যে গোপন
চুক্তির কারণে হয়তো বাগেরহাটে বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইন্সেস দিতে এমন
ঘটনা ঘটাচ্ছে। উভয়ের তো ভাল বানিজ্য হচ্ছে। মরতে শুধু বাগেরহাটের লোকেরা।
আর এ সকল অভিযোগের প্রতিকার হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি
কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।বাগেরহাট বিআরটিএ’র মটরযান পরিদর্শক রনজিৎ হালদার জানান, নিজের স্বাধ্য
অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করি। নতুন চাকুরী এরপরও অফিসের সকলকে ম্যানেজ
করেই তো সকল কাজ করতে হয়। বোঝেনই তো।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট বিআরটিএতে সদ্য যোগদানকারী সহকারী পরিচালক কে
এম মাহাবুব কবির জানান, তিনি নতুন এসেছেন। আর ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য
নির্ধারিত বোর্ড আছে। তারাই সবকিছুই বলতে পারবেন। তবে কেউ অভিযোগ
দিলে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান। #

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (বিকাল ৫:১৩)
  • ১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ ©  গাঙচিল টিভি
Theme Customized By Shakil IT Park