রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্রকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্দেশ্যপ্রণদিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে কথিত সাংবাদিক সুজন খন্দকারের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিবাদে শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সামনে ‘ গোয়ালন্দ উপজেলার র্স্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোহেল রানা রাজবাড়ী সরকারী কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ও গোয়ালন্দের প্রথম সারির একজন ক্রীয়াবিদ। অন্যদিকে এশিয়ান টিভির রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রতিনিধি ও মানবজমিন পত্রিকার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি সুজন খন্দকারের বিরুদ্ধে “মানব পাচার, চাঁদাবাজি ও আইসিটি” মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে তার একাধিক বাড়িও রয়েছে। মানব পাচার মামলায় র্যাবের হাতে ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারসহ চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অথচ এই সুজন খন্দকার উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে গত ২৬ আগস্ট মানবজমিন পত্রিকায় এবং গত ২ সেপ্টেম্বর এশিয়ান টেলিভিশনে সোহেল রানাকে মাদকের গড ফাদার উল্লেখ করে সংবাদ প্রচার করেন। কিন্তু প্রকাশিত খবে সোহেল রানাকে মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকের গডফাদার বলা হলেও তার স্বপক্ষে কোন তথ্য-প্রমান দেয়া হয়নি। এমনকি অভিযুক্ত হিসেবে সোহেলের বক্তব্যও নেয়া হয়নি।
এ সময় সোহেল রানা বলেন, আমার পিতা একজন পল্লীচিকিৎসক। তাকে সবাই সহিদ ডাক্তার নামে চিনে। সুজন খন্দকারের সাথে আমার ব্যাক্তিগত রেশারেশির জেরে এই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কোন প্রকার মাদকের সাথে আমার কোন সম্পর্ক কখনো ছিল না, এখনো নেই। আমার নামে কোনো মাদক মামলাও হয় নাই। অথচ আমি নাকি মাদক ব্যাবসা করে কোটিপতি হয়েছি। এমন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় মানুষিক ভাবে চরমভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। তবে আজকের মানববন্ধনে সকলের উপস্থিতি ও প্রতিবাদ দেখে আমার সেই হতাশা অনেটা কেটে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সুজন খন্দকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সত্য নয়। সোহেল রানার পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।