ডেস্কঃ
যশোরের অভয়নগরে ফের কয়লার ড্যাম্প থেকে কয়লা চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনা মঙ্গলবার রাতে এল আর ট্রেডার্স লিমিটেডের ম্যানেজার তুহিনুর ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নওয়াপাড়া শংকরপাশা ফেরীঘাট ৩নং গাজীর ঘাট নামক এলাকায় রফিক গাজী সহ তিন ভাইয়ের ৬২ শতাংশ জায়গা ১ বৎসর যাবত ভাড়া নিয়ে এল আর ট্রেডার্স লিমিটেড কয়লা কিনে কয়লার ড্যাম্প করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সেখান থেকে গতকাল গভীর রাতে কয়লা চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের বিবরনী থেকে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট দিবাগত-রাত আনুমানিক ১২ থেকে ২টার মধ্যে ড্যাম্প থেকে কয়লা চুরি হয়। বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাশের একটি পরিত্যাক্ত বাগানে পর পর দুই জায়গায় কয়লার বস্তা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নৈশ প্রহরী সহ তিন জনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান।
মামলার ইজাহার ভুক্ত আসামিরা হলেন, বুনরামনগর পশ্চিমপাড়রা মোঃ মোসার ছেলে মোঃ আরজান (৩১) শংকরপাশা এলাকার আজাদ ফকিরের ছেলে ভ্যান মালিক হিরোন ফকির (৬৬) একই এলাকার মুক্তার হাওলাদারের ছেলে (নৈশ প্রহরী) হেলাল হাওলাদার (৪২)
নৈশ প্রহরী হেলাল হাওলাদার বলেন, আমি ওই দিন রাত ১২ টা পর্যন্ত কয়লার ড্যাম্পে ডিউটি করেছিলাম। সকালে এসে দেখি কয়লা কম। সে সূত্র ধরে চুরি যাওয়া মাল খোজাখোজিঁ করতে থাকি।
বাদী তুহিনুর ইসলাম বলেন, আমরা এক বছর যাবত এই জায়গা ভাড়া নিয়ে কয়লার ড্যাম্প করে ব্যবসা করে আসছি। এর আগে ৪/৫ মাস আগে ও একবার কয়লা চুরি হয়। এবার পরিত্যাক্ত বাগানে পর পর দুই জায়গায় কয়লার বস্তা পাওয়া গেছে। নৈশ প্রহরী হেলাল হাওলাদার ঠিক মত ডিউডি করেনি।

তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওয়াপাড়ার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে সম্প্রতি নওয়াপাড়া এলাকায় কিছু চোরদের পরিচালনা করে আসছে একটি চক্র। কিছুদিন আগে চেঙ্গুটিয়া এলাকা থেকেও রুহুল আমিন নামের এক ব্যবসায়ীর দু’গাড়ি কয়লা চুরি করে চক্রটি। বিষয়টি প্রমানিত হওয়ার পরেও সেই ব্যবসায়ী তার মাল ফেরত পাইনি।
এ ব্যপারে এস আই সামছুর বলেন, কয়লা চুরি ঘটনার স্থান পরির্দশন করেছি। যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনর্চাজ একেএম শামীম হাসান বলেন, কয়লা চুরির ব্যপারে অভিযোগ পেয়েছি। সাথে সাথে পুলিশের একটি টিম ঘটনার স্থানে গিয়েছিল। তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।