অর্ণব আহসান শামিম
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী।
শুক্রবার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামে নিজ বাড়িতে ওই নারী সংবাদ সম্মেলন করেন ।
এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “ছয় মাস আগে করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান আমার বাড়ি আসেন। তখন তিনি আমাকে বলেন, ‘কৈশোর কাল থেকে আমি তোমাকে ভালোবাসি, এখনও ভালোবাসি; আর যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন তোমাকে ভালোবেসে যাব।’”
“গত ইউপি নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান আমার কাছে আসেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন এবং নির্বাচনের খরচের কথা বলে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন।”
লিখিত বক্তব্যে ওই নারী বলেন, “সবশেষ গত ৩১ মে রাতে তার সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর থেকে তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। চেয়ারম্যান আমার মান-সম্মান নষ্ট করেছে। এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে।”
এখন বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
গত ১৪ অগাস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আদালত পিবিআইকে অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।”
এ ব্যাপারে করপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমানের ভাষ্য, “আমাকে হেয় করতে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা ষড়যন্ত্র করছে; যাতে আমি ‘চেয়্যারম্যানি’ করতে না পারি। সে জন্য এই মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে।”
ওই নারীর সঙ্গে তার আর্থিক ও শারীরিক কোনো সম্পর্ক ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, “তবে গত নির্বাচনে তিনি আমার দল করেছেন। আমার জন্য ভোট চেয়েছেন। আমার পক্ষে সর্বাত্মক কাজ করেছেন, কিন্তু এখন একটা কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় তিনি আমার বিরুদ্ধে এসব কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছেন ।”
Leave a Reply