রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।
ধারের পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াতে নাছিমা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে রুমা আক্তার (২৪)কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী রমজানের বিরুদ্ধে । আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের কোনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউপির কোনাইল গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের স্ত্রী নাছিমা বেগম ও তার মেয়ে রুমা আক্তার।
আহত নাছিমা বেগম বলেন, প্রতিবেশী রমজান শেখ তার মেয়ে বিয়ের জন্য ঈদের আগে তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নেয়। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও ধারের টাকা ফেরত না দেয়ায় গতকাল (১৩ আগষ্ট) বিকালে তিনি টাকা ফেরত চাইতে রমজানের বাড়ী যান।
সে সময় রমজানের স্ত্রী আলেয়ার সাথে বাকবিতন্ডা ও চুলাচুলি হয়। এক পর্যায়ের আলেয়া তাদের দেখে নেবার হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। পড়ে উভয় পক্ষের স্বজনরা বিষয়টি জেনে বিচার করে দিতে চায়। যে কারণে তিনি তার ভাইদের বিচারে থাকার জন্য ডাকেন। কিন্তু হঠাৎ করে রবিবার (১৪ আগষ্ট) সকালে যখন তাদের বাড়ীতে কেউ ছিলো না, তখন রমজান সহ ১০/ ১২ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে তার বাড়ীতে হামলা করে। এ সময় রড, চেইন, বাটাম দিয়ে তাকে সহ তার স্বামী, মেয়ে পিটিয়ে আহত এবং বাড়ী ঘর ভাংচুর করে চলে যায়। এতে তার হাত ও মেয়ের মাথা ফেটে যায়। পড়ে হাসপাতালে আসলে তার হাতে ৩টি ও মেয়ে রুমার মাথায় ৫টি সেলাই লেগেছে। এছাড়া তাদের শরীরে আঘাতের ব্যাথায় নড়াচড়া করতে পারছেন না।
প্রতিবেশী শেফালী বলেন, মারামারি সময় তিনি রমজানদের থামতে বললেও শোনেন নাই। এলোপাথারি ভাবে পিটিয়েছে নাছিমা ও রুমাকে।
আহত নাছিমার দুলাভাই রাজ্জাক মোল্লা বলেন, ধার নেয়া টাকা চাওয়া নিয়ে মহিলা মহিলা কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে কেউ বাড়ীতে না থাকায় হঠাৎ রমজান ১০/১২ জন নিয়ে এসে দরজা ভেঙ্গে রড, লাঠি, বাটাম দিয়ে মেরে আহত করে তার শালিকা নাছিমা ও শালিকার মেয়ে রুমাকে। এতে তার শালিকার হাত ও শালিকার মেয়ে রুমার মাথা ফেটে যায়। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও হামলাকারীদের বিচারের জন্য মামলা করবেন।
এদিকে অভিযুক্ত রমজান শেখ মুঠোফোনে মারামারি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনি কারও কাছ থেকে কোন টাকা ধার নেন নাই। তবে তার শ্যালক আক্তার ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলো আলাউদ্দিনের কাছ থেকে, সেই টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার সেই টাকার জন্য আলাউদ্দিনের স্ত্রী তার স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়েছে। তখন সে বলেছে দেয়ার সময় দিয়েছো, এখন তার কাছে চায়ছো না কেন? যে কারণে আলাউদ্দিনের স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে বউ মিলে তার স্ত্রীকে রান্না ঘরে আটকে মার ধরো করেছে।
রাজবাড়ী সদর ওসি শাহাদত হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।