মোঃ জামিল হায়দার (জনি)
নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরের বৃ-চাপিলা গ্রামে সুমাইয়া ইয়াসমিন মুক্তা (২০) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্যহত্যা করেছেন। বুধবার নিহতের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজ শোবার ঘরে তীরের সাথে দড়ি বেঁধে তিনি গলায় ফাঁস নেন। নিহত মুক্তা বৃ-চাপিলা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সেনাসদস্য মাসুদ রানার স্ত্রী। তবে মুক্তার স্বজনদের দাবি, যৌতুকের দাবিতে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
চাপিলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেন জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাশের কান্দাইল গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে মুক্তার সাথে সেনা সদস্য মাসুদ রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তা নিজ শোবার ঘরের তীরের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস নেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আলাউদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে আত্যহত্যা করেনি। কিছুদিন যাবৎ জামাই চাকরী ছেড়ে ব্যবসা করবে বলে টাকার জন্য খুব চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় তারা আমার মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। পরে তারা এটি আত্যহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
তবে মাসুদ রানার পিতা আব্দুর রহিম জানান, আমার ছেলের বউ নিজের ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্যহত্যা করেছে, তাকে কেউ হত্যা করেনি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না আত্যহত্যা তা বুঝা যাবে।