অপূর্ব কুমারঃ- রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ঘোষণার পর রাজবাড়ীতেও শুক্রবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকেই পেট্রোল পাম্পে ভিড় বাড়তে থাকে মোটরবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনের।
রাত ১১ টার দিকে রাজবাড়ীর পলাশ পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দেখা যায় শতাধিক যানবাহন তেলের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে, সিরিয়াল ঠিক রাখতে না পারায় বেশ জটের সৃষ্টি হয় তেল নিতে আসা যানবাহনের। এর মধ্যে বিশেষ করে মোটরবাইকের চাপ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বেশি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং প্রতিটি যানবাহনকে তেলে নেওয়ার সুযোগ করে দেন।
রাত ১২ টা বেজে গেলে মালিকপক্ষ তেল বিক্রয় বন্ধ করে দিলে আবারো হট্টগোল শুরু হয়। বাইক চালকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাত সাড়ে ১২ টার পরে পুলিশ এবং মালিকপক্ষ কথা বলে পাম্প এরিয়ার মধ্যে থাকা সকল মোটরবাইককে পূর্বের দামে পুনরায় তেল বিক্রয় শুরু করে।
এদিকে তেল নিতে আসা চালকেরা বলেন, পাম্প যদি সিরিয়াল মেন্টেইন করে তেল দিতো তাহলে এত ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
১২ টার পরে পাপন নামের এক মোটরবাইকার বলেন, আমি ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি তেল পাই নাই। এখন তারা আবার বলছে আগের দামে তেল দেবে না। এটা কি নিয়ম হলো?
এছাড়া লাইনে থাকা রতন নামের আরেক বাইকার বলেন, অধিকাংশ পাম্প দাম বাড়ার ঘোষণা আসার সাথে সাথেই পাম্প বন্ধ করে দিয়েছে। এরা যাওবা খোলা রেখেছে কিন্তু একশ দুশ টাকার বেশি তেল দিচ্ছে না।
রাফি নামের এক মোটরবাইকার বলেন, আমরা ছাত্র মানুষ। তেলের দাম বাড়লে আমাদের চলতে কষ্ট। এজন্য এত রাতেও পাম্পে এসে সিরিয়ালে দাঁড়িয়েছি।
সিয়াম নামের এক বাইকার বলেন, বৈশ্বিক সমস্যার কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এটা আমরা মেনেই নিয়েছি। তবে, পাম্প কেন তেল বিক্রি বন্ধ রাখছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাইকার বলেন, এই পাম্প তেল থাকা সত্ত্বেও তেল দিচ্ছে না। অকটেন বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করছে। তাদের তো আগের মূল্যেই তেল কেনা। তাহলে কেনো তারা আগের মূল্যে তেল দিবে না?
তবে, পলাশ পাম্পের ম্যানেজার লোকমান হোসেন বলেন, আমাদের স্টকে যা তেল ছিলো তা দিয়ে আমরা চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে কোন সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করা হয় নাই। জেলার অন্যান্য পাম্প যেখানে সন্ধ্যা থেকে বন্ধ সেখানে আমরা এখনো তো তেল বিক্রি করছি। এটা ভোক্তাদের একেকটা মনগড়া অভিযোগ।
Leave a Reply