অপূর্ব কুমারঃ- রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
মানুসিক ভারসাম্যহীন তৈয়ব পেয়াদা (৭০) নামের ব্যাক্তির কাছে থাকা ভিক্ষার টাকা ছিনিয়ে নিতেই নৃশংস ভাবে খুন করা হয় তাকে। বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া ঘটনায় জড়িত সাঈদ ফকিরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ। সাঈদ ফকির গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নছরউদ্দিন সরদার পাড়ার চেনেরউদ্দিন ফকিরের ছেলে।
এর আগে গত ৭ মে গোয়ালন্দ শহরের এফকে টেকনিক্যাল কলেজের বারান্দা থেকে মানুসিক ভারসাম্যহীন তৈয়ব পেয়াদার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মামুন পেয়াদা অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, তাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছটি উপজেলার দক্ষিণ ডোবরা গ্রামে। ঘটনার প্রায় ৩ মাস আগে তার বাবা মানুসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না। তিনি খুন হওয়ার পর পুলিশের মাধ্যমে তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, মানুসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ঘটনা তদন্তে পুলিশ মাঠে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে উপজেলার মইজদ্দিন মন্ডল পাড়া এলাকা থেকে সাঈদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাঈদ ফকিরের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকুটি শহরের কলেজ পাড়ার একটি ঝোপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী জানায়, উক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন তৈয়ব পেয়াদার নিকট থাকা টাকা নেওয়ার সময় বাধা দেওয়ার তাকে হত্যা করে এবং যাওয়ার সময় ওই স্থানে চাকুটি ছুড়ে ফেলে দেয়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।