অর্ণব আহসান শামিম
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে সদর উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আর ‘থাকছে না’ বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একটি করে ঘর ও দুই শতাংশ করে জমি দেবেন।
এর মধ্যদিয়ে এই উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে আর কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার থাকছে না বলে তিনি জানান।
আলাউদ্দিন জানান, সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে চিহ্নিত করে তালিকা করা হয়। প্রথম ধাপে ৪৮০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে ঘর পায় ৬৩১টি পরিবার। ঈদের আগে তৃতীয় ধাপের প্রথম কিস্তিতে ৫১১টি ঘর বিতরণ করা হয়। তৃতীয় ধাপের শেষ কিস্তিতে ২১ জুলায় ১৬২টি ঘর দেওয়া হবে।
“এর মধ্যদিয়ে ১ হাজার ৮২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও জমি প্রদান করা সম্পন্ন করা হবে। ফলে এই উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আর থাকছে না।”
সারা দেশের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮২৪টি ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প এটি। তারা প্রথম ১ হজার ৮২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার চিহ্নিত করে তালিকাভুক্ত করেন। গৃহ নির্মাণের জন্য আমরা ১৪ টি ইউনিয়নের ৩২টি স্পটে অভিযান চালিয়ে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা মূল্যের ২৭ দশমিক ৮ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেন।
তারপর সদর উপজেলার জালালাবাদ, বৌলতলী, সাতপাড়, করপাড়া, শুকতাইল, গোপিনাথপুর, পাইককান্দি, উরফি, লতিফপুর, উলপুর, দুর্গাপুর, গোবরা, হরিদাসপুর ও রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৩২টি স্থানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ নিদের্শনা অনুসারে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয় বলে জানান ইউএনও মহসিন উদ্দিন।
তিনি জানান, পরে তিনটি ধাপে ঘর বিতরণ করা হয়। এখন তৃতীয় ধাপের শেষ কিস্তির ১৬২টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২টি কক্ষ, একটি বারান্দা, ১টি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর থাকছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ১ হাজার ৮২৪টি পরিবারকে ঘর আর জায়গা দিয়েই দায়িত্ব শেষ হচ্ছে না। পরিবারগুলোর বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ ও উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে।
পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করার জন্য আশ্রয়ণে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে এবং সেখানে শাকসবজি উৎপাদনে তাদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply