আবুল কাশেম
নড়াইল সদর উপজেলা হবখালী ইউনিয়েনের সিংগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ ভাগাভাগি অভিযোগ পাওয়া গেছে, জানা যায় সিংগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রভাব শালী সভাপতির ২য় স্তী নাদিরা সুলতানা আয়া পদে, সভাপতি আপন ভাতিজা রাসেল পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে ও হবখালী ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান টিপু সুলতানের এতিম ভাগিনা অফিস সহায়ক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির মেট্রিক পাস সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের অপসারণের জন্য বিভিন্ন ভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পত্রপত্রিকায় অনেক খবর প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়নি, পরিচয় না দিতে চাওয়া স্কুলের এক শিক্ষক জানান, আমরা শিক্ষক আমাদের দায়িত্ব কোমলবতী শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানো তবে সেটা আমরা আমাদের মত করে করতে পারিনা, সিংগে মাধ্যমিক বিদ্যালয় মনে হয় সভাপতি সাহেবের নিজস্ব বাংলো সে যে ভাবে চাইবে সেভাবেই চলতে হবে তার বাইরে গেলে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই ভয়ে কিছু বলতে পারিনা, নিয়োগের বিষয়ে হবখালী ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান টিপু সুলতানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, তবে আমার এতিম ভাগিনা অফিস সহায়ক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছে যাকে আমরা ছোট থেকে মানুষ করছি।স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাথে চুক্তি করে আপনার ভাগনে কে নিয়োগ দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাকে বলেছিলো কি করা যায়, আমি বলেছি স্কুলের স্বার্থে যেটা করা লাগে সেটা করুন আমার কোনো আপত্তি নেই, এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন নিয়োম অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, আমার ২য় স্ত্রী নাদিরা সুলতা ও আমার ভাতিজা রাসেল মোল্যা পরিক্ষা ভালো করেছে এবং তারাই নিয়োগ পেয়েছে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সর্দ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজকুমারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান অফিস সহায়ক -৫
পরিচ্ছন্নকারী- ৪
আয়া- ৪
মোট ১৩ জন পরিক্ষা দিছিলো ৩ পদের বিপরীতে তবে আয়া পদে ও পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে নিয়োগ বোর্ডে নিয়োগ পেলেও অফিস সহায়ক পদটা স্থগিত করা হয়, কেনো করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ৪ জনের ভেতর কেউ ফিট ছিলোনা, এবং বোর্ড চলা কালীন একটা কল আসছি যে অফিস সহায়ক পদটা স্থগিত করে রাখা হোক, এবং পরে জানতে পারলাম অফিস সহায়ক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছে চেয়ারম্যানের ভাগিনা একথা বলে তিনি ফোন কেটে দেয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম সুলতান মাহমুদ দৈনিক গ্রামের কন্ঠকে জানান, নিয়োগ বানিজ্য হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে অবশ্য ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।