অপূর্ব কুমারঃ- রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্নো ভিডিও দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গত শনিবার ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ফুচকা বিক্রেতা আলেক মোল্লা (৪২), কৃষিশ্রমিক মিন্টু বিশ্বাস (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩৭)। তাঁরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলেক মোল্লা ওই শিশুর বিদ্যালয়ে ফুচকা ও ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। তাঁর সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিশুদের সখ্য গড়ে ওঠে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে তিনি বিনা মূল্যে ফুচকা ও ঝালমুড়ি খাওয়ান। এরপর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মুঠোফোনে পর্নো ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত শনিবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
ওই ছাত্রীর কয়েকজন সহপাঠী জানায়, আলেক মোল্লা তাঁদের সামনে দিয়ে ওই শিশুকে নিয়ে যান। এরপর তারা তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে টিফিনের ঘণ্টা পড়ায় তারা ক্লাসে ফিরে যায়।
শিশুটির মামা অভিযোগ করেন, ‘আমার বোনের মেয়ে আমাদের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে তিন দিন আগে। প্রথমে এই কাজ করে মিন্টু। পরে আলেক মোল্লা।’ তিনি বলেন, তাঁরা গরিব মানুষ। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা তাঁদের সাহস দিয়েছেন। তাঁরা এ ঘটনার বিচারের জন্য থানায় মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ধর্ষণ করিনি। তবে তাকে ফোনে খারাপ ভিডিও দেখিয়েছি।’ অভিযুক্ত আলেক মোল্লা ও আমিরুল ইসলাম এই ঘটনার পর আত্মগোপন করেছেন। এ বিষয়ে তাঁদের মন্তব্য জানতে ওই এলাকায় গিয়েও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
ধর্ষণ রোধে আইন সংস্কারসহ ২১ দফা সুপারিশ
ধর্ষণ রোধে আইন সংস্কারসহ ২১ দফা সুপারিশ
রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশু ধর্ষণের বিষয়টি তিনি জানেন না। এ বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply