ডেক্সঃ-
নারায়ণগন্জে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মৃত্যুর সংখ্যা দুজনে গিয়ে দাড়িয়েছে।
গত ৯ জুন (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক রাত সারে আটটায় ঢাকাগামী রয়েল কোচ দ্রুত গতিতে ওভারটেক করার সময় নারায়ণগন্জের মদনপুরের পিপাস পেট্রোল পাম্পের
বিপরীতে রাস্তার ফুটপাতে দাড়িয়ে থাকা অবস্হায় মোঃ আমজাদ হোসেন ও মিজানুর রহমান সুৃমনকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত
গতিতে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুত গতির রয়েল কোচের ড্রাইভারের বেপরোয়া ও প্রতিযোগিতামূলক
গাড়ি চালানোতে ওভারটেকিং করার ফলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এতে মোঃ আমজাদ হোসেন গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্হলেই মারা যান এবং আশংকাজনক অবস্থায় মোঃ মিজানুর রহমান
সুমন রাস্তার পাশে পড়ে থাকেন। এ সময় উপস্হিত স্হানীয়রা সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরবর্তীতে সুমনের অবস্হা অাশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত
চিকিৎসার জন্যে তাকে তার
পরিবার ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন ।
দুইদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ে সবাইকে কাদিয়ে মিজানুর রহমান সুমন ১১ জুন শনিবার
বিকাল ৩ টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন – (ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না এলাহী রাজেউন)নিহত মিজানুর রহমান সুমন স্বনামধন্য জমজম মসকুইটো কয়েল ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ মসকুইটো কয়েল ফ্যাকটরি এসোসিয়েশনের সদস্য। এ ঘটনায় মদনপুর থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যুর একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘাতক বাস ও তার ড্রাইভার হেলপার কাউকে আটক করতে পারেনি। বাংলাদেশ মসকুইটো কয়েল ফ্যাকটরি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দূর্ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য যথাযথ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ বরাবর জোরালো দাবী জানানো হয়েছে।
নিহত মোঃ আমজাদ হোসেন ও মিজানুর রহমান সুমনের অকাল মৃত্যুতে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য জোরালো দাবী জানিয়েছেন প্রেসক্লাব নওয়াপাড়া।
ঘটনার জায়গায় পুলিশ গিয়েছিল কিনা। এবং তদন্ত করেছিল কিনা।আর ওনার মৃত্যু হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের OT রুমে বেলা ১:৫০ মিনিটের সময় আমি ওখানে উপস্থিত ছিলাম।মুল ঘটনাটি কারো কাছে সততা পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখুন। ধন্যবাদ