অর্ণব আহসান শামিম
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতিসহ ব্যাংকারকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড আর দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে এক লাখ টাকা আর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুইজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার প্রধান আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সমীর ওরফে সমীরণ দাস (৫২) জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাসুড়িয়া গ্রামের গোকুল দাসের ছেলে।
যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন জেলার কাশিয়ানী উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের মানিক সিকদারের ছেলে এয়ার আলী সিকদার (৬০) ও একই উপজেলার শিল্টা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে শিপন (৫১)।
তাদের মধ্যে সমীরণ দাস পলাতক। অন্য আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার ২৫ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল রাতে কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট বাজারে রাজপাট কৃষি ব্যাংকে ডাকাত পড়ে। সে সময় ব্যাংকের এক ঘরে ব্যাংক কর্মকর্তা আয়ুব হোসেন মোল্লা (৫৫) ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি চিৎকার করলে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরদিন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শচীন্দ্রনাথ বালা কাশিয়ানী থানায় ২৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হত্যা ছাড়াও ডাকাতরা ব্যাংক থেকে ‘বেশ কিছু টাকা’ ও রাজপাট বাজারের চারটি দোকান থেকে টাকা-পয়সা লুটে নেয়। ওই রাতে গ্রাম পুলিশের সদস্য মিন্টু শিকদার দূর থেকে সবকিছু লক্ষ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
কাশিয়ানী থানার পরিদর্শক বিজয় কুমার মৈত্র ও মো. আশরাফুল বারী তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৩০ অগাস্ট ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
শুনানি শেষে তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এই রায় দিল।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. ইসমাইল হোসাইন, ফজলুল হক খান ও আহমেদ নওশের আলী।
Leave a Reply