নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
যশোর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘সোনালী দিন’ পত্রিকায় ১৫ মে (রবিবার) অভয়নগরের কথিত সাংবাদিক হারুন-আর-রশিদের পাঠানো ‘সাংবাদিকতা কত সস্তা’ শিরোনামে সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠন কে ইঙ্গিত করে উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া এধরণের সংবাদ পরিবেশন করে সে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেছে অনেকে।
এই সংবাদ পরিবেশন করে হারুণ সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিকগণ।
তার এই প্রতিবেদনে, নওয়াপাড়ায় নবগঠিত একটি প্রেসক্লাব গঠন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানে সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের প্রেসক্লাব তার নিজস্ব গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী গঠন ও সদস্য সংগ্রহ করেই পরিচালনা হয়ে আসছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কারো বক্তব্য না নিয়ে ইঙ্গিত করে কৌশল করে যে সংবাদ পরিবেশন করেছে আমরা তার তিব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে সংবাদ পরিবেশনের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সমালোচনা থেকে বাদ পরেনি কথিত সাংবাদিক হারুনও। তাকে নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে তার আয়ের উৎস নিয়েও। সাংবাদিকতার পাশাপাশি কোন অয়ের উৎস না থাকলেও কিভাবে সে বিলাস বহুল জীবন যাপন করে এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
এছাড়াও সংবাদটিতে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ বানিজ্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে এসএ টিভি অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দীন বাচ্চু বলেন, আমার নিয়োগে কোন টাকা লাগে নাই। এসএ টিভি টাকার বিনিময়ে কোন প্রতিনিধি নিয়োগ দেয় না। তিনি আরোও বলেন, যে সাংবাদিক এই সংবাদ লিখেছেন তা তার মনগড়া।
এশিয়ান টেলিভিশন অভয়নগর প্রতিনিধির রবিউল ইসলাম বিশ্বাসের মোবাইল (০১৭০০-৭৯২১৭৭) নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসির্ভ করে কথা না বলেই কেটে দেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হারুন-আর-রশিদ বলেন, এটা জাতীয় ইস্যু নিয়ে লেখা। আমি কোন ব্যাক্তি বা সংগঠনকে ছোট বা হেয় করার উদ্দ্যেশে সংবাদ পরিবেশন করি নাই । নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে বলেন, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া আমার কাছে টাকা চেয়েছিল আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। অপরদের নিয়োগ নিয়ে আমি কিছু লিখি নাই।