নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় যুব জোট, দৌলতপুর উপজেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব খান সালাম হত্যা মামলায় চৌধুরী পরিবারের ৬ সদস্য সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেতা কর্মিরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে মাহাবুব খান সালাম কে ১১ই মে রাত সাড়ে১১টায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন, ১২ মে দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।
কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নিতে চরদিয়ার দরবারের কথিত পীর রাশেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী তাছের ও জাসদ নেতাদের প্ররোচনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩৩ জন নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
যুবলীগ নেতা স্বপন বলেন, হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে কথিত তাছের পীরের অনুসারী ও জাসদ, বিএনপি ও জামাত নেতাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এসব নেতা-কর্মীর নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। এ মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা ওই দিন রাতে কেউই ছিলেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের আসামি করা হয়েছে। তিনি নেতা-কর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আনিচুর রহমান সাগর বলেন, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আশ্রয়স্থল চৌধুরী পরিবার, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ কে সুসংগঠিত করে আসছে চৌধুরী পরিবার। দৌলতপুরের হাজারও নেতা কর্মি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরীর কাছে নিরাপদ। আপনার মনে করেন সেলিম চৌধুরী, টোকেন চৌধুরী লোটন চৌধুরী, পল্টন চৌধুরী, তুষণ চৌধুরী , স্বপন এর নামে যে মিথ্যা মামলা দিয়ে চৌধুরী পরিবার কে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিবে সেটা দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ সহ্য করবে না, রাজপথে থেকে কঠোর আন্দলোন করা হবে। এ ছাড়া নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।