ডেস্কঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার বেদভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান কাজে চরম অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রায় ৪ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ।
সরজমিনে দেখা গেছে কাজ শেষ হওয়ার আগেই মেঝেতে ফাটল ধরেছে। নিম্নমানের কাঠ ও গ্রীল ব্যবহার করা হয়েছে দরজা জানালা তৈরি কাজে।
অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে নিরাপত্তা জামানত ফেরৎ নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে ২০১৮ সালে বেদভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরপত্র আহবান করা হয়। লটারীর মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার কনা এন্টার প্রাইজ কাজটি পান। নির্মান কাজের ব্যয় ধরা হয় ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৩২০ টাকা। কার্যাদেশ মোতাবেক কাজ শুরু ১৬ জানুয়ারী ২০১৯ এবং কাজ সমাপ্তির তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯ তবে কাজটি এখনো চলমান রয়েছে।
কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে কিনা তা অফিসের কেউ বলতে পারেনি। কাজ শেষ হওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী (শিক্ষা) কাজের মান সন্তোষজনক মর্মে প্রত্যায়ন দেয়ার পর নিরাপত্তা জামানত ফেরৎ দেয়ার বিধান থাকলেও কাজ শেষ না হলেও অজ্ঞাত কারণে উপজেলা প্রকৌশলী নিরাপত্তা জামানত ঠিকাদারকে ফেরৎ দিয়েছেন। তথ্য অধিকার আইনে উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট নিরাপত্তা জামানত ফেরৎ দেয়া হয়েছে কিনা জানতে ১০ এপ্রিল আবেদন করা হলেও ২১ এপ্রিল ওই বিষয়ে কিছু না বলেই আংশিক তথ্য দিয়েছেন।
চলিশিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য প্রফুল্ল কুমার বিশ্বাস বলেন, স্কুলের কাজ শুরু থেকেই খারাপ হচ্ছে। গ্রেটবিম ঢালাই দিয়ে তা আবার ভেঙ্গে ফেলা হয়। এখন আর কাজ দেখতে যাই না। অনেকদিন ধরে কাজ চলছে। কবে শেষ হবে জানিনা।
মেসার্স কনা এন্টার প্রাইজের মালিক রাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজতো আমি দেখাশুনা করিনা। আমার পার্টনার মনিরামপুরের ফায়জুর রহমান দেখাশুনা করে। সেই বলতে পারবেন ওখানের বর্তমান অবস্থা।
মনিরামপুরের ফায়জুর রহমান বলেন, আমি অভয়নগরে কনা এন্টার প্রাইজ নামে কোন কাজ করছি না।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: সানাউল হক নিরাপত্তা জামানত ফেরৎ দেয়ার কথা এড়িয়ে যান এবং বলেন “ কাজের মান খারাপ হলে তা ঠিকাদারকে সংশোধন করতে হবে। কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।