মোঃ মনিরুজ্জামান।
মুঠোফোনে প্রেম এবং বিয়ে! এবং বিয়ের মাত্র তিন দিন পরেই স্বামীর বাড়ি থেকে বিথী আক্তার (১৯) নামের এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার ২০ এপ্রিল সকাল নাগাদ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বাঘারপাড়া পুলিশ।
বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকোলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহর স্ত্রী বীথি আক্তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় তিনমাস আগে বিথী আক্তারের সঙ্গে মেবাইলের মাধ্যমে আব্দুল্লাহর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে বিথী ১৫ এপ্রিল বাহাদুরপুর বাবার বাড়ি থেকে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে বের হয়ে বাঘারপাড়ায় আব্দুল্লাহর বাড়িতে চলে আসেন। বাবার বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে স্বামীর বাড়িতে গোপনে তাদের বিবাহ হয়। বিষয়টি পরে নিজের পরিবারকে অবগত করে বিথী আক্তার।
মাত্র তিনদিন সংসার করার পর গত মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল রাতে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে খাবার খেয়ে স্বামীর সঙ্গে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য আব্দুল্লাহর মা ডাকাডাকি করলে আব্দুল্লাহ ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রীকে পাশে না পেয়ে খোঁজখুজি করে এবং দেখতে পান তাদের পার্শ্ববর্তী ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন বিথী। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে মৃত বীথি আক্তারের চাচা বাবুর অভিযোগ ‘বিথীকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন। বিথীর মরদেহ দেখলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। গলায় ফাঁস দিলে দাগ থাকবে, তার কোনো প্রমাণ নেই। তিনি আরও বলেন এই ঘটনার জন্য থানায় মামলা করবেন।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দীন বলেন , ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে সত্য জানা যাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।