সৈয়দ মাহফুজুর রহমান
ভোলা জেলা প্রতিনিধি
পরের বোঝা বইয়া বইয়া
নৌকার গলই গেছে খইয়া রে
আমার নিজের বোঝা কে বহিবে রে।
আবুল আলিমের এই কালজয়ী গানটাই বুঝি আজ ডাক্তার শরীফের জন্য সত্যি হয়ে আসলো। ভোলা দ্বীপের অসহায় মানুষের হার্টের খবর নিতে গিয়ে নিজের হৃদয়ের কথা বেমালুম ভুলেই গেছেন ভোলার সকলের প্রিয় শরিফ ডাক্তার। তিনি আজ ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। ভোলায় এ খবর আসার সাথে সাথে হাহাকার পরে যায় পুরো ভোলাজুড়ে। দোয়া চেয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেখেই বুঝা যায় সকল মতের উর্ধ্বে উঠে ডাক্তার শরিফ আহমেদই ভোলার রিয়েল হিরো। বিসিএস দিয়ে পাওয়া সরকারি চাকুরিও ছেড়ে দিয়েছেন ভোলার অসহায় গরিব রোগীদের চিন্তা করে। করোনার প্রথম ঢেউয়ে যখন অচেনা এই ভাইরাস নিয়ে ভয়ে দিশেহারা প্রশাসনসহ ভোলার মানুষ। তখন করোনা যোদ্ধা হয়ে শুধু লড়েই যাননি, দিন রাত রাস্তায় থেকে সাহস যুগিয়েছেন দিশেহারা ভোলার মানুষদের। সেই সাথে ভোলার দুর্নীতি পরায়ণ স্বাস্থ্যসেবার সকল অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদে সরব ছিলেন এই প্রতিবাদি সৎ সাহসি ডাক্তার। করোনায় ভোলা হাসপাতালে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাইফুর রহমান ছাড়া আর কোন ডাক্তারকে যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না, তখন ভোলা হাসপাতাল থেকে ষড়যন্ত্র করে বের করে দেয়া সেই ডাক্তার শরিফ আহমেদ ই ভোলা হাসপাতাল চালিয়ে রেখেছেন করোনা রুগিদের চিকিৎসা দিয়ে। আজ এই গরিবের ডাক্তারের রোগ মুক্তি কামনায় ভোলার বন্দর নগরী ইলিশা সহ সকল উপজেলায় দোয়ার আয়োজন করেছেন সাধারণ মানুষ। মহান আল্লাহ অসহায় মানুষের চিকিৎসার কথা চিন্তা করে হলেও গরিবের বন্ধু ডাক্তার শরিফ আহমেদকে সুস্থ্য করে পুনরায় ভোলাবাসির খেদমতে ফিরিয়ে দিবেন, এমনটাই কামনা ভোলা জেলার প্রতিটি মানুষের।
Leave a Reply