সৈয়দ মাহফুজুর রহমান,
ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহান উদ্দিনের চাচড়ায় সরকারি কর্মকর্তা বদরুজ্জামান চৌধুরী বাদল নামের এক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি সরকারি এই কর্মকর্তা।
নিজের জমি উদ্ধার করতে বর্তমানে বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন ভুক্তভোগী এই সরকারি কর্মকর্তা তিনি ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কানুনগো।
গত শুক্রবার ১৫ এপ্রিল বিকেলে ভোলা প্রেসক্লাবে বদরুজ্জামানের পক্ষে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা একটি সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী বদরুজ্জামান ও স্বামীর ভাই নুরুজ্জামান বাহার ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে ক্রয়সূত্রে চাচড়ায় ৩ একর সাড়ে ৭৫ শতাংশ জমির মালিক হন। ক্রয়ের পর থেকে ওই জমি তারা ভোগ করছেন। কিন্তু তিন বছর আগে হঠাৎ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলম ওই জমিতে তার অংশ দাবি করে তাদের উৎখাতের পাঁয়তারা করেন। ওই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে তৎকালীন ওসি এনামুল হক উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সরেজমিন মাপজোখ করে মাহাবুব চৌধুরীর কোনো জমি পাওনা নেই মর্মে প্রতিবেদন দেন।
বদরুজ্জামানের স্ত্রী বলেন, ‘এরপর কিছুদিন নীরব থাকার পর বুধবার বিগত ১৩ এপ্রিল ৮ শতাংশ জমি দখল করে তাতে পাকা ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেন আঃলীগ নেতা মাহাবুব চৌধুরী। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বর্তমান ওসি শাহীন আলম ফকির মন্তব্য করেন, জমির একাংশের মালিক নুরুজ্জামান বাহার বিএনপি করে, তার জন্য কিছু করা যাবে না। পরদিন এসআই রিপনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হলেও তিনি জায়গাটা পরিদর্শন করে আসেন, তার সামনেই মাহাবুব গ্রুফ ভবন নির্মাণ অব্যাহত রাখে।’
তিনি জানান, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মানিক মিয়ার মেয়ে। অথচ তিনি পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
এদিকে মাহাবুব আলম চৌধুরী অসুস্থ আছেন উল্লেখ করে তার ছেলে মিথুন চৌধুরী এবং তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তারা নুরুজ্জামান ও বদরুজ্জামানের কোনো জমি দখল করেননি। তাদের পিতার রেকর্ডীয় জমিতে পাকা ভবন করছেন এবং তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেও দাবি করেন মিথুন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, কে বিএনপি করে, কে আওয়ামী লীগ করে, তা তার দেখার বিষয় নয় অইন তার নিজ গতিতেই চলেন বলেও জানান, এর বাইরে তিনি কাজ করেন না। তবে জমিজমার বিষয় আদালতের তার দফতরের দেখার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।