মিঠুন দত্তঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা মিস্ত্রি পাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের এর উদ্যোগে বুধবার(১৩ এপ্রিল)বিকাল এ চৈত্রসংক্রান্তি পূজা উদযাপন হয়।
বাংলা বছরের শেষ মাস হল।চৈত্র মাসের শেষ দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বলে চৈত্রসংক্রান্তি। এ দিনটি হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ উৎসবের দিন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে যে, এ দিনে স্নান, ব্রত, উপাসনা প্রভৃতি ক্রিয়াকর্ম পূণ্যজনক।
চৈত্রসংক্রান্তির দিন বাংলায় শিবকেন্দ্রিক একটি বিশেষ উৎসব পালিত হয়। এটি “চড়ক পূজা”(খেজুর ভাঙ্গ) নামে পরিচিত। চড়ক পূজা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। চৈত্রের শেষ দিন এ পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বৈশাখের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসব চলে।
চড়কপূজা উপলক্ষ্যে, আগের দিন চড়ক গাছকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়। তারপর এতে জলভরা একটি পাত্রে শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ রাখা হয় যা পূজারীদের কাছে “বুড়োশিব” নামে পরিচিত। পতিত ব্রাক্ষ্মণ এ পূজার পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করে।
পুজার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ হল, কুমিরের পূজা, জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর হাঁটা, কাঁটা আর ছুঁড়ির উপর লাফানো, শিবের বিয়ে, অগ্নিনৃত্য, চড়কগাছে দোলা ইত্যাদি। এইসব পূজার মূলে রয়েছে ভূতপ্রেত ও পূর্ণজন্মবাদের উপর বিশ্বাস। এর অনুষ্ঠানাবলী প্রাচীন কৌমসমাজে প্রচলিত নরবলির অনুরূপ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে যা “চড়ক সংক্রান্তি” বা “চৈত্র সংক্রান্তির মেলা” বলে হয়ে থাকে।