অর্নব আহসান শামীম
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ সহ ল্যাবের কম্পিউটার বিক্রি করে দেওয়া ও বিদ্যালয়ের জমি দখলসহ নানা অভিযোগে গোপালগঞ্জ শহরের এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়ার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার দুপুর নাগাদ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে অপারেশনের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ করা হয়,
এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাশেদুর রহমানের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি পেশ করে।
শিক্ষক মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমের সংকট রয়েছে। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক তিনটি ক্লাস রুম দখল করে নিজের বাসভবন তৈরি করেছেন। স্কুলে ২৫টি কম্পিউটারের মধ্যে তিনি ১৫টি বিক্রি করে দিয়েছেন। বোর্ড নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি ৭০ টাকার বদলে ২৫০ টাকা আদায় করেছেন তিনি। টিফিন ফান্ড থেকে প্রতি মাসে প্রধান শিক্ষক ১২ হাজার টাকা নিজের সম্মানি ভাতা হিসাবে নিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আল আমিন বলেন, ‘আমাদের স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল। এখানে আমরা দুর্নীতি শিখতে আসিনি। আমাদের টিফিন ফান্ড থেকে প্রতি মাসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ১২ হাজার টাকা নিচ্ছেন। এটা ঠিক না।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওশীন ইসলাম নাহিয়ান বলেন, ‘তিন মাসের বেতন ৩৭৫ টাকা হলেও প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।’
১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহম্মেদ বলেন, ‘কম্পিউটার ল্যাবের ২৫টি কম্পিউটারের মধ্যে ১৫টি কম্পিউটার তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ব্যক্তি স্বার্থে কিছুই করিনি। আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যেসব অভিযোগ তার কোনো ভিত্তি নেই।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাশেদুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’