মোঃ জামিল হায়দার (জনি)
নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম ভোগান্তির শিকার উপজেলাবাসী। শতভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা হলেও বর্তমানে হচ্ছে না নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ। তাই ঘনঘন লোডশেডিং, আবার বিদ্যুৎ থাকলেও লো ভোল্টেজের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলার বাসিন্দাদের। বিশেষ করে মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় আরাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজানে লোডশেডিংয়ে এই তীব্র গরমের মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সকল মুসল্লিরা। বিদ্যুতের এমন আসা-যাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
উপজেলাবাসীর অভিযোগ, রমজান মাসের শুরু থেকেই বিশেষ করে ইফতার, তারাবিহ নামাজ ও সাহরির সময় লোডশেডিং দেখা দেয়। যার ফলে তীব্র গরমের মধ্যে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে নাটোরের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল হিসেবে পরিচিত হালতির বিল, এই বিলে আবাদিজমি প্রায় ৮ হাজার হেক্টর এর মধ্যে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষআবাদ করা হয়। নিয়মিত লোডশেডিংয়ে ফসলের মাঠে ব্যাহত হচ্ছে সেচ ব্যবস্থা। এতে কৃষকের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
এ জন্য বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছেন গ্রাহকরা। তাই দ্রুত সকল সমস্যা সমাধান করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা জোনাল অফিসের এজিএম আল ইমরান আহমেদ জানান, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বিরিয়ানায় গ্যাস উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমেছে। ফলে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। নলডাঙ্গায় বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৭ মেগাওয়াট তবে বরাদ্দ ৫ মেগাওয়াট। তাই বিদ্যুত ঘাটতি সামাল দিতে বিভিন্ন সময় এলাকা ভেদে লোড ম্যানেজম্যান্ট করতে হচ্ছে। যার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
Leave a Reply