আবদুর রহিম কক্সবাজার :
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও এনজিও,আইএনজিওদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসরত স্থানীয়দের জমি দখলের প্রতিবাদে ঘন্টা ব্যাপী এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার পালংখালী নাগরিক অধিকার পরিষদের উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন উপজেলার থাইংখালী স্টেশনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন,”২০১৭ সালে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় প্রদান করে। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পালংখালীর স্থানীয়রা। পরবর্তীতে দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের সেবার নামে তাদের আত্নীয় স্বজনদের চাকরি দিয়ে স্থানীয়দের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। সম্প্রতি ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসরত স্থানীয়দের জমিতে ঘর নির্মাণ করে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। যার ফলে সাড়ে ৫ শতাধিক পরিবার ভিটে-মাটি হারানোর আতঙ্কে রয়েছে৷
তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের অনৈতিক কর্মকান্ড, অত্যাচার এবং নির্যাতনের কারনে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে স্থানীয়রা। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান। অন্যথায় ক্যাম্পে অপরাধ কর্মকান্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাবেন বলে আশংখা প্রকাশ করেন। তিনি অনতিবিলম্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চালু করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদ বেলাল বলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ক্যাম্প ইনচার্জ স্হানীয়দের নানান ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। পাশাপাশি বসত বাড়ী কেড়ে নেওয়ার নজির রয়েছে। গত চার দিকে আগে আমার বোন ছুমদা খাতুন কে ধরে নিয়ে যায় সিআইসি। পরে তিন আটকিয়ে রাখেন
নির্য়াতিন ছুমদা বলেন আজ সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব। বার নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিআইসি আমার জায়গা কেড়ে নিয়ে এনজিওদের দিয়ে দেন।
হাজী নুরুল ইসলাম বলেস ১৩/১৯ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝমাঝি আমার বেশ কিছু জোত জমি রয়েছে। সেখানে কোন চাষবাদ করতে দেয় না।
ভুক্তভোগী সকিনা খাতুন বলেন আর কয়দিন পর আত্নহত্যা করতে হবে। প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।
রোকেয়া বেগম বলেন, ১৩ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি কতৃক বসত বাড়ীতে স্কুল ও মসজিদ তৈরি করেছেন। সেখান থেকে চলে যাওযার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাফফর আহমদ, ইউপি সদস্য মিছবাহ উদ্দিন সেলিম, কমিটির নিয়ন্ত্রক ও নির্বাচক তারেকুর রহমান,সহকারী নিয়ন্ত্রক শফিউল্লাহ তুহিন,আহ্বায়ক তাহিজুল আক্তার জুয়েল,সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসাইন বাপ্পি, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক,শাহরিয়ার শাকিল,যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দের মধ্যে ফাহিম উদ্দিন ফরহাদ,মো.ইব্রাহিম,আব্দুল গফুর মুন্না,মাহবুল আলম রুবেল,আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর বাপ্পি,বোরহান উদ্দিন,নুরুল আবছার শাহীন,শামুশুল আলম জিাহাদী,আব্দুল ওয়াহিদ মানিক,আমিরুল ফয়েজ প্রমূখ।মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন যুগ্ন আহবায়ক জিয়াউল করিম রিয়াদ।
Leave a Reply