মোঃ মনিরুজ্জামান।
মাহমুদুল এবং ফাহমিদার প্রেমের শুরুটা ছাত্র জীবনেই কিন্তু সেই সম্পর্ক স্থায়ী ভাবে পবিত্র করার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল দুজনেরই।
তাদের জীবন গড়ার সামনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আঘাত ক্যন্সার। মাহমুদুলের জীবন থেকে ফাহমিদাকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য যেন চেষ্টার কোনো কমতি ছিলোনা মৃত্যু নামক নরপিশাচের।
ভারত-বাংলাদেশের সকল ডাক্তার যখন ক্লান্ত হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত ঘোষণা করেন তখন প্রিয় মানুষটির মুখে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত হাসি দেখতে হাসপাতালের বেডেই ধর্মীও রীতি অনুযায়ী ফাহমিদাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেন মাহামুদুল।
ভালোবাসার অগ্নি পরীক্ষায় জয়ী হয় মাহামুদুল কিন্তু মাত্র ১২ দিন পর মৃত্যু তার বুক থেকে কেড়ে নিয়ে যায় পবিত্র বন্ধন। গত সোমবার সকালে স্বামী মাহামুদুলকে একা করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেয় ফাহমিদা।
নর্থ-সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এমবিএ করে মাহামুদুল আর বেসরকারি কজেল থেকে এমবিএ করে ফাহমিদা স্বপ্ন ছিলো একসঙ্গে সংসার গড়ার।
ভালবাসার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সংসার গড়েছিল দু’জন কিন্তু ভালবাসার একটি বিশাল কাব্যগ্রন্থের সমাপ্তি হলো মাত্র ১২ দিনে! স্বামীর বুক থেকে কেড়ে নিয়ে নিষ্ঠুর কাফনের কাপড় সারাজীবনের মত জড়িয়ে নিলো ফাহমিদাকে।
ফাহমিদা মাহমুদুল’রা এতে করে হারিয়ে দিলো লাইলি মজনু আর শিরি ফরহাদের প্রেমকাহিনীকেও। অমর হোক ভালবাসা।