1. admin@gangchiltv.com : admin :
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১১:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উৎসব মুখর মনোরম পরিবেশে মোঃ মামুন হোসাইনের গলায় কার্ড পরিয়ে তাকে বরন করে নেন, জেলা প্রেসক্লাব পটুয়াখালী এর সভাপতি মহোদয় । মারা গেল টয়লেটে জন্ম নেয়া শিশু আব্দুল্লাহ যশোরে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহ আটক ১ অভয়নগর এ যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন।  পিরোজপুরে নানা অয়োজনে পালিত হচ্ছে  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস নাটোরের নলডাঙ্গায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত নবজাতককে টয়লেটে রেখে পালিয়ে গেল প্রসূতি মা পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইতিহাসের কলঙ্কজনক গনহত্যা দিবস পালিত নেত্রকোণায় রমজান উপলক্ষ্যে বাজার মনিটরিং শুরু।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আর নেই।

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ১৪৩ ৯৬বার পঠিত

 

মোঃ মনিরুজ্জামান।

১৯ মার্চ ২০২২ শনিবার ঢাকার সামরিক হাসপাতালে ( সিএমইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।

মৃত্যুকালে এই প্রখ্যাত আইনজীবী এবং রাজনীতিবীদের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

নব্বই দশকের গণআন্দোলনের পর থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়ীত্ব পালন করেন তিনি পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব নেন।

এবং ২০০১ সালে রাষ্ট্রপতির দায়ীত্ব থেকে অবসরে যান তারপর নিজ বাসভবনে নিরবতায় জীবন যাপন করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত কারণে অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

সাহাবুদ্দীন আহমদের মেয়ে জামাই অধ্যাপক আহাদুজ্জামান তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টা ২০ মিনিটে মৃত্যু হয় সাবেক এই রাষ্ট্রপতির।

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করার পর রাষ্ট্রপতির পদে কে আসবে, নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে থাকবেন- সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো (তিন জোট) একমত হতে না পারায় প্রধান বিচারপতিকে সেই দায়ীত্ব দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। আবার সুপ্রিম কোর্টে ফেরার শর্ত দিয়ে সাহাবুদ্দীন আহমদ তাতে রাজি হন।

পরবর্তীতে তিনি আবার প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও পালন করেন এবং সংবিধানেও ব্যপক পরিবর্তন আনেন তিনি এবং চাকরির মেয়াদ শেষে ওই পদ থেকেই অবসরে যান তিনি।

পরবর্তীতে আবারও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দীন আহমদ তখন ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্বে ছিলেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি তাঁর কর্মজীবনে প্রথমে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ সালের জুন মাসে তাঁকে বিচার বিভাগে বদলি করা হয়। তিনি ঢাকা ও বরিশালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি তাঁকে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারক পদে উন্নীত করা হয়।

১৯৮০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সাহাবুদ্দীন আহমদকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করা হয়। বিচারপতি হিসেবে তাঁর দেওয়া বহুসংখ্যক রায় প্রশংসিত। বাংলাদেশ সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর ওপর তাঁর দেওয়া রায় দেশের শাসনতান্ত্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক অনন্য ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।

১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তৎকালীন সরকার তাঁর সেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ১৯৭৮ সালের আগস্ট থেকে ১৯৮২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

আজকের দিন-তারিখ

  • বুধবার (রাত ১১:২৩)
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ৭ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © গাঙচিল টিভি ©
Theme Customized By Shakil IT Park