আবদুর রহিম কক্সবাজার ::
কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়ি জোনের একটি খামার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫)। ওই সময় পালানোর চেষ্টাকালে ধাওয়া করে লেদু মিয়া (৪৬) নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মতে খামার বাড়ির ভেতরে খাটের নিচ থেকে বস্তায় মোড়ানো ৬টি বন্দুক, ১৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৪ টি মোবাইল সেট উদ্ধার হয়।
আটক লেদু মিয়া সাহারবিল ইউনিয়নের কোরাল খালী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ও সাহারবিল ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসেনের সৎ ভাই।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গত ৮ বছর পূর্বে আব্দুল মান্নানের মৎস্যঘের জবর দখল করে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে ওই ঘেরের খামার বাড়িতে অবস্থান করে আসছিল লেদু মিয়া। একই সময়ে বাহাদুর নামের এক ব্যাক্তিরও চিংড়ি ঘের দখল করে।
বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩ টায় অভিযান চালানোর পর রাতে চকরিয়া থানায় এজাহার দেয়া হয়। র্যাব-১৫ এর জেসিও নায়েব সুবেদার মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় এজাহারটি দেন।
এজাহারে দাবি করা হয়, লেদু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মৎসঘের দখল, চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র বেচা-কেনাসহ নানা অপরাধ কর্ম চালিয়ে আসছিল। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি সংলগ্ন আবদুল মান্নানের খামার বাড়িতে অস্ত্রসহ অবস্থান করছে লেদু মিয়া।
এ সংবাদ পেয়ে সাড়ে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই খামার বাড়ি ঘেরাও করা হয়। ওই সময় কৌশলে লেদু মিয়া পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দীন (এএসপি) বলেন, অস্ত্রসহ আটক লেদু মিয়া গরুচোর সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তাকে ধরতে বেশ কিছুদিন ধরে র্যাব-১৫ এর নিজস্ব সোর্স কাজ করছিল। লেদু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইন, গরু চুরি, মারামারিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত মো. লেদু মিয়াকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় র্যাবের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।